shono
Advertisement
Nadia

রাত ফুরোলে নতুন বছর, তবু গ্রিটিংস কার্ডের চাহিদা নেই, শুকনো মুখে ব্যবসায়ীরা

ডিজিটাল যুগে এখন কার্যত ব্রাত্য গ্রিটিংস কার্ড।
Published By: Suhrid DasPosted: 07:13 PM Dec 31, 2024Updated: 07:13 PM Dec 31, 2024

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: আরও একটা নতুন বছর। ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর পালা। তবে আর কার্ড তেমনভাবে নয়। এখন সবটাই ডিজিটাল। ডিজিটাল যুগে এখন কার্যত ব্রাত্য গ্রিটিংস কার্ড। দেড়-দুই দশক আগেও ইংরাজি নববর্ষে ঢেলে কার্ড বিক্রি হত। ইন্টারনেটের যুগে সেই কার্ডের গুরুত্ব ক্রমশ কমতে থাকে। ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে সেসব কার্ডের ঔজ্জ্বল্যও।

Advertisement

নতুন বছর এলে এবারও গ্রিটিংস কার্ডের তেমন বিক্রি নেই। আগে হরেক বাহারি কার্ডের পসরা সাজিয়ে বসতেন বিক্রেতারা। বড়রা তো বটেই, ছোটরাও কার্ড কেনার জন্য হামলে পড়ত। স্কুলের ছোটদের জন্য থাকত মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক, মোগলির কভার দেওয়া কার্ড। পরবর্তী সময়ে বেন টেন, মোটু পাতলু সহ অন্যান্য কার্টুন চরিত্ররা উঠে এসেছিল কার্ডে। কিন্তু এখন সেসবও অতীত।

এবারও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় কিছু বিক্রেতা গ্রিটিংস কার্ড বিক্রিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। বিক্রিবাটা হবে ভেবে পসরা সাজিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে থেকেই। বিশেষত স্কুলগুলির সামনের দোকানগুলিতে কার্ডের পসরা সাজানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আশাও কার্যত পূরণ হয়নি। বছরের শেষ দিনেও হাতেগোনা কয়েকটি কার্ডই বিক্রি হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম কয়েক দিনে সেই বিক্রিও যে অনেক হবে। এমন আশা করছেন না ব্যবসায়ীরাও। লাভ তো কিছুই নেই। উল্টে দোকান সাজানোর পরিশ্রম রয়েছে। এমন জানাচ্ছেন দোকানিরা।

ডিজিটাল যুগে ই-কার্ড এখন প্রবল জনপ্রিয়। স্মার্টফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার-সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে এই ডিজিটাল কার্ডেরই রমরমা। শুধু বর্ষবরণই নয়, দোল, পুজো থেকে অন্যান্য পার্বণেও এখন ই-কার্ডে শুভেচ্ছা পাঠানো হয়। আগামী দিনে এই গ্রিটিংস কার্ডের ব্যবহার কতটা থাকবে! সেই বিষয়ও ভাবাচ্ছে বিক্রেতাদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দেড়-দুই দশক আগেও ইংরাজি নববর্ষে ঢেলে কার্ড বিক্রি হত।
  • ইন্টারনেটের যুগে সেই কার্ডের গুরুত্ব ক্রমশ কমতে থাকে।
  • এবারও তেমন কোনও বিক্রিবাটা হল না।
Advertisement