মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: উদয়নারায়নপুরের কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান সুশোভন শেঠকে মারধরের ঘটনায় তদন্তে গিয়ে কুকুরের কামড় খেল পুলিশ! ঘটনার তদন্তে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ির যান আধিকারিকরা। অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা না করে উলটে পুলিশ কর্মীদের উপর বাড়ির লোক কুকুর ছেড়ে দেয়। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি। অন্যদিকে তৃণমূলনেতাকে মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে কানপুরের মানিকুরা এলাকায় বিজেপির একটি সভা ছিল। অভিযোগ, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সেই সভা করা হয়। স্বভাবতই পুলিশ সেই সভা বন্ধ করে দেওয়ায় সেই রাগ গিয়ে পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে ওই সময়েই সভাস্থলের কাছ থেকে কিছু কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাচ্ছিলেন কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান সুশোভন শেঠ। দেখা মাত্রই বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভ তাঁর উপর পড়ে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় পড়ে গেলেও লাঠি রড শাবল দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। একেবারে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুশোভন শেঠ।
এদিকে যখন এই ঘটনা, সেই সময় মানিকুরা এলাকারই কিছুটা দূরে তৃণমূলের সভা ছিল। ঘটনার খবর সেখানে পৌঁছানো মাত্র পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ, ক্ষোভে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কিছু বাইকে ভাঙচুর চালায়, আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পেঁড়ো থানার পুলিশ। নামানো হয় র্যাফ। ঘটনার পরেই তদন্তে নামে পেঁড়ো থানার পুলিশ। রাতেই অভিযান চালিয়ে দু'জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যেই একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে পুলিশের দাবি, এক বিজেপি কর্মী সমর্থকের বাড়িতে তদন্তের জন্য গেলে বাড়ির লোক কুকুর ছেড়ে দেয়। কুকুরট পুলিশের একজনকে কামড়েও দেয় বলে অভিযোগ। যদিও বাড়ির মালিক কুকুর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ঘর খুলতেই কুকুর বেরিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া কুকুরের ভ্যাকসিন দেওয়া আছে বলেও মন্তব্য।
অন্যদিকে শনিবার বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল মানিকুরা এলাকায় যান। পেঁড়ো থানায়ও যান তাঁরা। সেখানে ধৃত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
