বাবুল হক, মালদহ: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সাফাইকর্মীরা। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য জমায়েত হয়েছিলেন। আর সেখানেই তাঁদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করল পুলিশ। সোমবার বেলায় মালদহ (Maldah) টাউন হলের কাছে এই ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জে জখম হন বেশ কয়েকজন মহিলাও।
সূত্রের খবর, ইংরেজবাজার পুরসভা, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত এবং সদ্য কাজ হারানোর সাফাইকর্মীরা মজুরি বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন সোমবার। সেইমতো সপ্তাহের প্রথম দিন কাজ বন্ধ রেখে তাঁরা প্রতিবাদে শামিল হন। কয়েকশো কর্মী যোগ দিয়েছিলেন তাতে। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি (Deputation) জমা দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, জেলাশাসকের দপ্তরের অদূরে, টাউন হলের সামনে পুলিশ আচমকা তাঁদের রাস্তা আটকে লাঠিচার্জ (Lathicharge) শুরু করে। রেহাই পাননি মহিলারাও। লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বিক্ষোভাকারীদের অভিযোগ, অনৈতিকভাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশের অবশ্য পালটা দাবি, জেলাশাসকের দপ্তরের কাছে এতজনের জমায়েতের অনুমতি ছিল না। আইন ভেঙেছেন বিক্ষোভকারীরা।
[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই পরপর ৬টি কারখানা, দীপাবলির মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের]
সাফাইকর্মী কৃষ্ণ ডোমের অভিযোগ, গত এক বছর ধরে তাঁদের মজুরি দিনপ্রতি ১৯০ টাকায় আটকে রয়েছে। শ্রম আইন অনুসারে এই মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা বারবার জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তারউপর গত মাসে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪২ জন সাফাইকর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল তাঁদের।
[আরও পড়ুন: হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণার পরই তৃণমূলের অন্দরে তীব্র অসন্তোষ, দলত্যাগের হুমকি বিধায়কের]
এদিন সেসব নিয়েই তাঁরা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই আচমকা পুলিশের লাঠিচার্জ। সাফাইকর্মীদের হুঁশিয়ারি, তাঁদের দাবি না মানলে এবার পথ অবরোধে নামবেন। পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ ঘিরে এদিন দুপুর পর্যন্ত উত্তপ্ত ছিল পরিস্থিতি।
দেখুন ভিডিও: