রাজা দাস, বালুরঘাট: দণ্ডি কাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনকে রিপোর্ট পাঠাল দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলা পুলিশ। তবে পুলিশ সুপারের (SP) পক্ষ থেকে মহিলা কমিশনকে পাঠানো সেই রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জেলার অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। এনিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এসটি কমিশনকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে দণ্ডি কাণ্ডে পুলিশের রিপোর্ট নিয়ে ফের বিতর্ক বেঁধেছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ এপ্রিল। রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বিধানসভা জেলা পরিষদ-১২ মণ্ডলের গোফানগরে কয়েকজন মহিলা বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলে (TMC)ছিলেন বলে দাবি করে বিজেপি। সেই ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তপনের ওই মণ্ডলের গোফানগর থেকে শুক্রবার বালুরঘাট শহরে আসেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা। তাঁরা বেশ কিছুটা রাস্তা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে যান। সেখানে তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম রায়ের পরই হাই কোর্টে কুন্তলের চিঠি মামলার শুনানি, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এমন ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় সব মহল। দণ্ডি কেটে কেন দলে প্রত্যাবর্তন, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে। রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশনও। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বুধবার টিআই (TI) প্যারেডের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ জাতীয় মহিলা কমিশনে (NCW) রিপোর্ট পাঠায়। তাতে জানানো হয়েছে, যাঁরা দণ্ডি কেটে তৃণমূলে ফিরেছেন, তাঁরা কারও বিরুদ্ধে নালিশ জানায়নি, তাই এ বিষয়ে পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখপাত্র এক’, ফের বিস্ফোরক কুন্তল]
আর সেই রিপোর্টের ত্রুটি তুলে ঘরেই সুকান্ত মজুমদার আপত্তি জানান। তাঁর কথায়, ”জেলা পুলিশের পাঠানো এই রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, জেলায় এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। যদি কোনও অপরাধমূলক ঘটনাই না ঘটে থাকে, তবে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কীভাবে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ? এই রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, পুলিশ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষত জেলার মহিলা তৃণমূল সভানেত্রীকে।” সুকান্ত মজুমদারের দাবি, জাতীয় এসটি কমিশনের সদস্যদের জেলায় এসে পুরো ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন। তবেই আসল ঘটনা সামনে আসবে এবং তদন্ত সঠিক পথে এগোবে।