সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাতে গাড়ি চালকদের অনেকসময়ই ঝিমুনি বা ঘুম ভাব চলে আসে। যার ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে। একই সমস্যার সম্মুখীন হন পুলিশরাও। রাতে অপারেশনে গিয়ে অনেক সময় চোখ লেগে যায় চালকের। সেই ধরনের দুর্ঘটনা রুখতে পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা পুলিশের গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ডিভাইস। যা চালকের চোখের উপর নজর রাখবে। গাড়ি চালকের চোখের পাতা তিন সেকেন্ডের বেশি বন্ধ থাকলে অ্যালার্ম বেজে উঠবে গাড়িতে। পাশাপাশি, কন্ট্রোল রুম ও পুলিশের শীর্ষকর্তাদের মোবাইলেও যাবে সতর্কবার্তা।
সম্ভবত দেশে কোনও জেলা পুলিশের মধ্যে প্রথম পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশই এই বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করছে বলে দাবি। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত দুইটি গাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘নোভাস অ্যাওয়ার’ নামে এই বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে। আগামিদিনে অন্যান্য গাড়িতেও তা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এখন জেলা পুলিশের যে গাড়ি মূলত ভিনরাজ্যে তদন্তে বা অভিযানে যায় সেই গাড়িতেই এই যন্ত্র ব্যবহার শুরু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রবল গরম থেকে রেহাই পেতে পুকুরে স্নান করতে নেমেই বিপত্তি, তলিয়ে মৃত্যু ৩ নাবালকের]
পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, “জেলা পুলিশের একটি দল মুম্বইয়ে এক অপরাধীর সন্ধানে গিয়েছিল। তখনই চালকের ঘুম চলে আসায় একটা সমস্যা হয়েছিল। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ডিভাইসের বিষয়ে খোঁজ শুরু করা হয়। পরে গুরগাঁও-এর একটি সংস্থার মাধ্যমে সেই ডিভাইস আনানো হয়। সেটি পর্যবেক্ষণের পর জেলা পুলিশের দুটি গাড়িতে এই বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, প্রতিটি যন্ত্রের দাম পড়েছে ৫০ হাজার টাকা। যন্ত্রটি চালকের সামনে বসানো থাকছে। চোখের উপর নজর রাখছে ‘সেন্সর’। চালকের দুই চোখের পাতা তিন সেকেন্ডের বেশি বন্ধ থাকলেই অ্যালার্ম বেজে যাচ্ছে। জেলা পুলিশের যে গাড়িতে এখন এই সেন্সর ডিভাইস ব্যবহৃত হচ্ছে তার এক চালক জানান, ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে এলে অ্যালার্ম বাজার ফলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিশ্রাম নিতে পারছেন। ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকছে না।