দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সরকারের অনুমতিপত্র নেই। চুরি করেই সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ঢুকেছিল চার-পাঁচজনের একটি দল। কিন্তু তাঁদের মধ্যে একজনের আর ফেরা হল না। বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারান তিনি। তাঁর দেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি ঘটে সুন্দরবনের (Sundarbans) বাঘনা ফরেস্ট এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার মধু চুরির উদ্দেশ্যে জঙ্গলে প্রবেশ করে চার-পাঁচজনের একটি দল। সরকারি অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় মধু চুরি করে তারা। কিন্তু এবার বাঘের আক্রমণ থেকে আর রক্ষা পেলেন না সেই দলেরই একজন। বছর পঁয়তাল্লিশের ভম্বল বৈষ্ণব নামের ব্যক্তিকে বাঘ টেনে নিয়ে যায় বলেই জানান তাঁর সঙ্গীরা। গোটা ঘটনাটি বনদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তারপর থেকেই মৃতদেহের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি গোসাবার সুন্দরবন উপকূলীয় থানার কুমীরমারি গ্রামে।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচি কাণ্ডে কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের, যেতে পারবেন না মমতাও]
সুন্দরবনে বাঘের হানা নতুন কোনও ঘটনা নয়। কখনও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে তো কখনও মাছ পাওয়ার আশায় গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে প্রাণ হারিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। যদিও সম্প্রতি বাঘের আক্রমণের ঘটনা খুব একটা শোনা যায়নি। বরং বছরের শুরু থেকেই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন পাওয়ায় চওড়া হাসি ফুটেছে পর্যটকদের (Tourists) মুখে। একাধিকবার দেখা দিয়েছে দক্ষিণরায়।
কিন্তু বাঘের হানায় প্রাণ যাওয়ার ঘটনায় নতুন করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শোকস্তব্ধ মৃত ভম্বল বৈষ্ণবের পরিবার। বাড়ির সদস্যের মৃতদেহ পাওয়ার প্রহর গুণছেন তাঁরা।