সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। যা উসকে দিয়েছে লালগড়ের স্মৃতি। আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তৎপর বনদপ্তর। ঝাড়গ্রাম ও ঝাড়খণ্ডের সীমানার বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে নজরদারি। সতর্ক করা হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদেরও। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশার সিমলিপাল অভয়ারণ্য থেকে দু-তিন দিন আগে একটি বছর তিনেকের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বেরিয়েছে। বনাঞ্চল ধরে সে এগিয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া বনাঞ্চলে রয়েছে বাঘটি। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকে রয়েছে চাকুলিয়ার সীমানা। জামবনি ব্লকে রয়েছে ওড়, আমতোলিয়া,বাঘাখন্দর, দর্পশিলা, চিচিড়া, বাঁকড়া, ফুলবেড়িয়া-সহ বিভিন্ন গ্রাম। এই গ্রামগুলোর থেকে চাকুলিয়ার দূরত্ব দেড় কিমি থেকে তিন-চার কিমির মধ্যে। সেই কারণেই জামবনি ব্লকের গিধনি এবং জামবনি-সহ অন্যান্য রেঞ্জের অফিসার, বনকর্মীরা নিজের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছেন। আর এই পুরো বিষয়টির নেতৃত্বে রয়েছেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম। তবে বাঘটি পুরুষ না স্ত্রী, তা এখনও জানাতে পারেননি ঝাড়গ্রাম বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
বছর ছয়েক আগে, সালটা ২০১৮, লালগড়ে দেখা মিলেছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। প্রায় ২ মাস লালগড়, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে ঘোরাফেরা করে সে। তার আক্রমণে মানুষের আহত হওয়ার ঘটনার পাশাপাশি বহু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়। এত বছর পর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার জামবনি ব্লকের গ্রামগুলোতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণরায়। যদিও বনদপ্তর আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছে। জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং চলছে। এবিষয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "বাঘটি ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়ার দিকে আছে। বাংলার সীমানা থেকে প্রায় দশ কিমি দূরে। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের অফিসার-সহ পুরো টিম বাংলা বর্ডারে নজরদারি চালাচ্ছেন। মানুষজনকে বলব আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বনদপ্তর পুরো বিষয়টি নিয়ে তৎপর। "