বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ফের রাজ্যের চা বাগানে ম্যানেজার খুন। ফাঁসিদেওয়ায় জয়ন্তিকা চা বাগানে উদ্ধার সিনিয়র ম্যানেজারের দ্বিখণ্ডিত দেহ! বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ দেহটি পাওয়া যায়। কে বা কারা, কেন তাঁকে খুন করল তা নিয়ে ধোঁয়াশা। ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের নাম নীলাঞ্জন ভদ্র। বয়স ৪৮ বছর। তিনি আলিপুরদুয়ারের হ্যামিলটনগঞ্জের বাসিন্দা। চার বছর ধরে জয়ন্তিকা চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। এদিন চলন্ত বাইকে পিছন থেকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খুনের কারণ বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি। নকশালবাড়ির এসডিপিও নেহা জৈন নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে চা বাগানে অন্য কর্তা ব্যক্তি এবং শ্রমিকদের। যদিও চা বাগানের শ্রমিকরা পুলিশকে জানিয়েছে, নীলাঞ্জনবাবু নির্বিবাদ এবং নম্র স্বভাবের ছিলেন। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি থেকে আনা হয়েছে ফরেন্সিক দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে চা বাগানের কাজ দেখতে বাইক নিয়ে বের হন নীলাঞ্জনবাবু। ওই সময় পিছন দিক থেকে তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ বসায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সিনিয়র ম্যানেজারের। বাগানের শ্রমিকরা রক্তাক্ত দেহ দেখে খবর দেয় বাগানের অফিসে। সেখান থেকে খবর যায় পুলিশে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আধিকারিকরা। এসডিপিও জানান, "এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।" ঘটনার নেপথ্যে চা বাগান সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা আছে, না কি ব্যক্তিগত কোনও কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চা বাগানের কমার্শিয়াল ম্যানেজার আর বি মিশ্র বলেন, "বাগানে কোনও ঝামেলা নেই। আগে কখনও এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি।"