দেব গোস্বামী, বোলপুর: ২০০৭ সালে শেষবার ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পর থেকে আর ভোট হয়নি। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। নেতৃত্বে সর্বভারতীয় সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। এদিন বেশ কিছুক্ষণের জন্য শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড় অবরোধ করা হয়। তবে ঐশীদের এই কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতিকরণের অভিযোগ ছড়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই শক্তিশালী। তবে সাম্প্রতিককালে একইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের এবিভিপিও ছাত্র সংসদে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে যে কোনও ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি সংঘটিত করে থাকে বাম ছাত্র সংগঠনই। শনিবার দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলে বড়সড় বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে রতনপল্লি ভারত তীর্থ মার্কেটে এসএফআইয়ের এই কনভেনশনে ঐশীদের বক্তব্য, ১৭ বছর ধরে ছাত্রভোট না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন সমিতির কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। শুধু এই ইস্যুই নয়, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন এবং বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছে এসএফআই।
বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ এসএফআইয়ের।
ঐশী ঘোষের বক্তব্য, ''আর জি করের সেই বোন আজও বিচার পায়নি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও বিলম্বিত করছে বলে মনে করছি আমরা। তার বিরুদ্ধেও জারি থাকবে আমাদের প্রতিবাদ। আর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতে যা ঘটছে, তা কাম্য নয়। অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এবিষয়ে সতর্ক হতে হবে।''
এসএফআইয়ের এই কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতির রং লাগল। দিনকয়েক আগে বিশ্বভারতী লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে শ্যামাপ্রসাদ ট্রাস্টের একটি অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। বাম ছাত্র সংগঠন প্রশ্ন তুলেছিল, ক্যাম্পাসে কেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি? আর শনিবার দলীয় পতাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে এসএফআই-এর বিক্ষোভও সেই একই প্রশ্ন তুলে দিল।