সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কয়লা কারবারি রাজেশ ওরফে রাজু ঝা খুনের মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এই মামলায় গঠিত স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। সিজেএম চন্দা হাসমত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। ঘটনার ১০৬ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল সিট। রাজু খুনে ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ গিরি, লালবাবু কুমার, মুকেশ কুমার ও পবন কুমার ওরফে ভকতের বিরুদ্ধে চার্জিশট দিয়েছে সিট। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনামাফিক খুন, খুনের চেষ্টা, ও অস্ত্র আইনে চার্জশিট দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার। পরবর্তী কালে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে বলেও আদালতে জানিয়েছে সিট। এই মামলায় মোট ৮০ জনকে সাক্ষী করেছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন,”আমরা সময়ের মধ্যে তদন্ত করে চার্জশিট জমা দিয়েছি। তবে আরও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। সে কথা আদালতেও জানানো হয়েছে।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কিছুটা হলেও তদন্তের কাজে ধাক্কা লেগেছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে গুলি করে খুন করা হয় রাজু ঝাকে। সেই ঘটনার তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন করে জেলা পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দুর্গাপুর থেকে এই খুনের ঘটনায় প্রথম অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তার পর ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে দু’জনকে। পরে বিহারের বৈশালি থেকে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে সিট।
[আরও পড়ুন: ‘নো ভোট টু মমতা বলে ভাঙড়ের দরজা খুলুন, আসব’, নওশাদকে বার্তা শুভেন্দুর]
চার্জশিটে তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ঘটনার দিন দুর্গাপুর থেকে চারচাকা গাড়িতে করে রাজু ঝা, আবদুল লতিফ, ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গাড়ি চালক শেখ নূর মহম্মদ ছিলেন। শক্তিগড়ে ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন। রাজু গাড়িতেই ছিলেন। বাকিরা গাড়ি থেকে নেমেছিলেন। সেই সময় একটি চারচাকা গাড়িতে করে এসে আততায়ীরা গুলি করে খুন করে রাজুকে। তার পর তারা গাঢ়ি করে পালায়। আততায়ীরা তাদের ব্যালেনো গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছে ফেলে রেখে অন্য একটি গাড়িতে করে কাটোয়া হওয়া চম্পট দেয়। এই মামলার তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছে পুলিশ।
