সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: এসআইআর প্রক্রিয়ায় খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই দেখা গিয়েছে, সবথেকে বেশি নাম বাদ গিয়েছে মতুয়া প্রভাবিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেই। শুধুমাত্র রানাঘাট উত্তর-পূর্ব ও রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণেই ৪২ হাজার মতুয়ার নাম বাদ পড়ায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। ফের উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে তাঁদের। আর এতেই মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে আশঙ্কার মেঘ বঙ্গ বিজেপির ঘরে। এই এসআইআর আবহে সেই রানাঘাটেই শনিবার জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। আর বিজেপির মতুয়া ভোটও নির্ভর করছে এবার এই আবহে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা বা আশ্বাস দেন তার উপর।
রাজ্য বিজেপির লক্ষ্য, রানাঘাটের তাহেরপুরের জনসভায় নাগরিকত্ব ও মতুয়াদের ভোটাধিকার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও বার্তা দিন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই রাজ্য বিজেপির তরফে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের 'টকিং পয়েন্টে'র সিংহভাগই এসআইআর, মতুয়া ভোট এবং সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি দেওয়া হয়েছে। গেরুয়া শিবির সূত্রে এমনই খবর। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির সঙ্গে এসআইআর ও মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে মোদি তাঁর ভাষণে বার্তা দিন - এমনটাই চাইছেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা।
ওয়াকিবহাল মহলের মত, আসলে এসআইআর আবহে মতুয়া ভোট নিয়ে প্যাঁচে পড়েছে বিজেপি। যাঁরা সিএএ-তে নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন, তাঁদের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আগে নাগরিকত্ব পেতে হবে। তারপর ভোটারের মর্যাদা মিলবে। আর এতেই এসআইআর প্রক্রিয়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়। কার্যত প্রচণ্ড চাপে বিজেপিও। মতুয়া গড়ে ভোট চলে গেলে একাধিক আসন খোয়াতে হবে বিজেপিকে। আর এই পরিস্থিতিতে মতুয়া আবেগে শান দিতেই খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এনে তাহেরপুরে সভা করানো হচ্ছে। একাংশের মতে, ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে উদ্বাস্তু ও মতুয়াদের জন্য বিশেষ প্যাকেজও ঘোষণা করতে পারেন মোদি।
