সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল ঢাকার ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র বন্ধ করেছিল দিল্লি। যদিও বৃহস্পতির খোলা হয়েছে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার বা আইভ্যাক। কিন্তু এদিন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্য দুই শহর রাজশাহী এবং খুলনায় ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় (India) দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, যে সমস্ত ভিসা আবেদনকারী বৃহস্পতিবারের জন্য ‘স্লট’ বুক করেছিলেন, তাঁদের জন্য নতুন তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার দুপুর ২টায় ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের (আইভেক) কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে ভারতীয় দূতাবাস। বলা হয়, চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে নির্ধারিত সময়ে ওই ভিসাকেন্দ্র চালু হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অন্য দু’টি শহরে ভিসাকেন্দ্র পুরো দিনের জন্য বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বুধবার দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূততে তলব করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। এর ঘণ্টা দুয়েক আগে ঢাকায় ভারতীয় ভিসাকেন্দ্রের (আইভেক) কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানায় হাইকমিশন। বুধবার শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের মিছিল ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এরপরেই ভারতীয় ভিসাকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-র নেতা হাসনাত আবদুল্লা ভারতবিরোধী মন্তব্য করেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় ‘সেভেন সিস্টার্স’কে ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করে দেওয়ার আহ্বান জানান। শুধু তা-ই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেবে বাংলাদেশ, এমনও বলেন। তার পরেই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভারত সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করা হয়।
