shono
Advertisement

বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব? দিলীপ ঘোষের বৈঠকে গরহাজির বনগাঁর সাংসদ ও ৩ বিধায়ক

বিধায়ক-সাংসদদের দলবদলের জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছে।
Posted: 05:38 PM Jun 11, 2021Updated: 06:01 PM Jun 11, 2021

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাঁকুড়া, হেস্টিংসের পর এবার বনগাঁ (Bongaon)। ফের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় গরহাজির একাধিক নেতা, বিধায়ক ও সাংসদ। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠকে কেন যোগ দিচ্ছেন না নেতারা, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে বনগাঁয় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। উদ্দেশ্য একটাই, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা। গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠক নিয়েই বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। কারণ, সেই বৈঠকে দেখা মিলল না বনগাঁ মহকুমার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকেও।

[আরও পড়ুন: বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি! পূর্ব বর্ধমানের ঘোষ বাড়ি থেকে ঐতিহ্যবাহী দেবীমূর্তি গেল সংগ্রহশালায়]

কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। তিনি বলেন, “শরীর অসুস্থ। সর্দি-কাশি জ্বর হয়েছে। সে কারণে যাওয়া হল না।” বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও শারীরিকভাবে অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ফলে ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলেই জানান। তবে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দুই বিধায়ক বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ উল্লেখ করলেও তা মানতে নারাজ অনেকেই। কেন তাঁরা যোগ দিলেন না বৈঠকে, বারবার সেই প্রশ্ন উঠছে। তাঁরাও কি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, ইতিমধ্যে সে জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছে।

বৈঠকে অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ নিয়ে জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেশ কৌশলী জবাব দিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “সকলকে ডাকা হয়েছিল৷ আমাদের বহু কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত। ওঁরা তাঁদের পাশে রয়েছেন। সেবামূলক কাজ করছেন।” CAA নিয়ে বারবারই দলের সঙ্গে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায়। তিনি কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, “কেন তিনি আসেননি, কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে শুনেছি সাংসদ দিল্লি গিয়েছেন।”

[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পায়ে বাঁধা লোহার শিকল, বনদপ্তরের উদ্যোগে অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেল বুনো হাতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার