শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভূগোলের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও খাতা জমা দেয়নি ছাত্রী। এই কারণে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠল পার্শ্বশিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারের চোটে ভাল আঘাত লেগেছে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির ভোটতলি কালুয়া মোহন হাইস্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে।
[বিকট শব্দে কেঁপে উঠল দিঘা, আতঙ্কে পর্যটকরা]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কঞ্চি দিয়ে সুমিতা রায়কে মেরেছিলেন পার্শ্বশিক্ষক নরেশচন্দ্র অধিকারী। সুমিতার বাড়ি ময়নাগুড়ির ভোটতলি এলাকায়। বাড়িতে ফিরে রাতে সুমিতা পরিবারকে নিগ্রহের কথা জানায়। সুমিতা জানায় তার ডান হাতে যন্ত্রণা করছে। মারের চোটে কয়েক জায়গায় কালসিটে পড়ে যায়। রাতে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি ব্লক হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই খবর জানাজানি হতে পড়ুয়াদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত শিক্ষক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ গুপ্তর বক্তব্য, শুক্রবার পরীক্ষার পর খাতা দিতে দেরি করে ওই ছাত্রী। ভূগোল শিক্ষক খাতা চাইলে তার সঙ্গে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করা হয়। তবে মারধর করাটা অন্যায়। অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষক। মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে সমস্যা মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[টানলেই বড় হচ্ছে! প্লাস্টিকের বাঁধাকপি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য]
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ এই প্রথম। সুমিতার সহপাঠীরা জানিয়েছে, ভূগোল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও খাতা জমা দেয়নি সুমিতা। বারবার চাওয়ার পরও খাতা না পাওয়ায় ভূগোলের শিক্ষক রেগে যান। তবে মেয়েটির পরিবার অবশ্য এই ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।
The post পরীক্ষার খাতা জমা দিতে দেরি, শিক্ষকের মারে জখম ছাত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.
