সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধোঁয়াশা এবং দূষণে দমবন্ধ পরিস্থিতি দিল্লিবাসীর। দীপাবলির পর থেকে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। শনিবার দিল্লির বাতাসের সামগ্রিক গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৩৮০। অন্যদিকে, ঘন ধোঁয়াশার কারণে রাজধানী এবং সংলগ্ন অঞ্চলে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এর জেরে এদিন বাতিল হয়েছে শতাধিক বিমান। পাশাপাশি, দেরিতে চলছে বহু ট্রেন।
শুধু কনকনে ঠান্ডা নয়। সঙ্গে দোসর দূষণ। ফলে রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকায় ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি হয়েছে, যা দৃশ্যমানতাকে কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনার পাশাপাশি জনজীবনও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শনিবার সকালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় বিলম্ব হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১০০টিরও বেশি বিমান। নির্ধারিত সময়ের পরে ছেড়েছে বহু উড়ান। একইসঙ্গে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও। ধোঁয়াশা এবং কম দৃশ্যমানতার কারণে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও। ধোঁয়াশা এবং কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি থেকে সঠিক সময়ে রওনা দিতে পারেনি অনেক ট্রেন। বহু ট্রেন আবার বাতিলও হয়েছে।
দূষণ মোকাবিলার জন্য রাজধানীতে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে। তার পরেও অবশ্য দিল্লির বাতাসের গুণমানের উন্নতি হচ্ছে না। দূষণ রোধে সম্প্রতি ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লির বাতাস শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না।
