বছরের প্রথমেই তীব্র ভূমিকম্প নেপাল, চিন, বাংলাদেশ, ভারত-সহ একাধিক দেশে। কম্পনের ধাক্কায় চিন, তিব্বতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। মঙ্গলবার সাতসকালে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের ঘুম ভেঙেছে কম্পনের জেরে। আতঙ্কে অনেকে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়ে পর্যটকরাও ভূমিকম্প টের পেয়ে বেশ আতঙ্কিত। তবে ক্ষয়ক্ষতির তেমন খবর এখনও মেলেনি। কলকাতা থেকে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গিয়ে কম্পন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা 'সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল'কে শোনালেন পর্যটক আকাশ মিশ্র।
গত ৫ তারিখ দার্জিলিংয়ে এসেছি। ৯ তারিখ পর্যন্ত থাকব। দার্জিলিং এমনিতেই আমার কাছে সবসময় সুন্দর। শীতে তার রূপ আরও আকর্ষণীয়। আমরা বেশ ভালোই ঘুরছি এখানে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে হোটেলের জানলা দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখছিলাম। সূর্য উঠছে সবে। পাহাড়চূড়ায় সূর্যোদয়ের সৌন্দর্য দেখতে বারবার এখানে ছুটে আসি। আজও সেটাই উপভোগ করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ টের পেলাম, ঘরটা যেন দুলছে! তাকিয়ে দেখি, ঘরের মেঝে, টেবিলে রাখা জলের বোতল - সব নড়ছে। তখনই বুঝলাম, ভূমিকম্প হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘায় সূর্যোদয়ের দিকে আর মন দিতে পারিনি। আচমকা এমন কাঁপুনিতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
পরে খোঁজখবর নিয়ে জানলাম, এখানে সকাল ৭টা নাগাদ ভূমিকম্প হয়েছে। শুধু দার্জিলিং না, আশপাশের বহু জায়গায় তা টের পেয়েছেন মানুষজন। কেউ কেউ তো ভয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। তবে আমাদের হোটেল থেকে সঙ্গে সঙ্গে বলে দেওয়া হয়, ভয়ের কিছু নেই। ভূমিকম্প হলেও তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি এখনও পর্যন্ত।
শুনলাম, ভূমিকম্পটা আসলে হয়েছে নেপাল-চিন সীমান্তের কাছে। ৭.১ মাত্রায় নাকি কেঁপে উঠেছে সেসব জায়গা। আর তার প্রভাব কিছুটা পড়েছে এই উত্তরবঙ্গে। প্রথমে কাঁপুনি টের পেয়ে কিছুটা ভয় লেগেছিল, তবে এখন সামলে নিয়েছি। বেড়াতে এসেছিলাম একদম ছুটির মেজাজে, কিন্তু তার মাঝে ভূমিকম্পে তালটা একটু কাটল। আশা করি, উত্তরবঙ্গে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু চিন্তা হচ্ছে ওইসব জায়গার জন্য, চিন বা নেপাল যেখানে মূল কম্পনটা হয়েছে, সেখানে নিশ্চয়ই খুব বড়সড় ক্ষতি হয়েছে।