গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল বলে পরিচিত বসিরহাটের স্বরূপনগরের বল্লির বিল। লোকমুখে যা বিলবল্লি নামে পরিচিত। কিন্তু সোনাই নদী ও ইছামতি নদীর সঙ্গে বল্লির বিলের সংযোগকারী খাল গুলির অবস্থা খুবই শোচনীয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয় বিলবল্লি। অভিযোগ, এর জেরে ভেসে যায় স্বরূপনগর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সমস্যা সরাসরি প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হলেন এলাকার বাসিন্দারা। ফুটবল মাঠেই নাটকের মধ্য দিয়ে বিলবল্লির সমস্যাকে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন স্বরূপনগরের ছাত্র ও যুবরা।
স্বরূপনগর বাঙলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া মাঠে আসর জমেছে বিলবল্লি কাপ ২০২৫-এর। উদ্যোক্তা স্থানীয় টাইগার বয়েজ ক্লাব ও ছাত্র যুব। সেই ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, স্বরূপনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বীনা মণ্ডল, বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস-সহ একাধিক সমাজসেবী ও জনপ্রতিনিধি। রাজীব মণ্ডল, বাবুসোনা মিস্ত্রি ও সঞ্জীব পালদের মতো ছাত্র ও যুবরা বিলবল্লিকে বাঁচাতে নাটক মঞ্চস্থ করলেন। সমগ্র এলাকার জন্য কতটা প্রয়োজনীয় এই বিল, সেই বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। সেই কথাও জানানো হয়। নাটকটি দেখে অভিভূত হন আসা মন্ত্রী, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা।
মন্ত্রী বলেন, "ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিলবল্লিকে বাঁচানোর জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেভাবে নাটকটি মঞ্চস্থ করা হল তাতে অভিভূত। সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সহ মন্ত্রকেও বিষয়টি উত্থাপন করব, যাতে বিলবল্লিকে আরও ভালো করে সংস্কার মানুষের কাছে তুলে ধরা যায়।" জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই বিল সংস্কারের কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্যদপ্তরের একটি হাব তৈরির পরিকল্পনাও সেখানে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিলের ৯৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। এই বল্লির বিল থেকে মাছ ধরে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। বিল পুনরায় আগের চেহারা ফিরে পাক। সেই আশা স্থানীয়দের।
