সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের সাফল্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের পর এবার বাইল্যাটারাল টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট। বিনা খরচে হাঁটু প্রতিস্থাপন করে নজির গড়ল দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম সেরা এই হাসপাতাল। বেদনা থেকে মুক্তি পাওয়াই নয়, ফের নিজের পায়ে দাঁড়ালেন রোগী।
[ছেড়ে চলে যাবে, আতঙ্কে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা স্বামীর]
রোগীর নাম ইয়ার মহম্মদ। দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। হাঁটাচলাও ঠিকভাবে করতে পারতেন না। জীবন কার্যত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। ইয়ার মহম্মদের হাঁটু প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অস্তি বিভাগের চিকিৎসকরা। রাজি হয়ে যান পরিবারের লোকেরাও। চিকিৎসক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। সপ্তাহ দুয়েক আগে দ্বিতীয়টির অস্ত্রোপচার করে হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন রোগী। হাঁটাচলাও করতে পারছেন। বেসরকারি হাসপাতালে হাঁটু প্রতিস্থাপন করতে গেলে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু, সরকারি হাসপাতাল নিঃখরচায় সেই পরিষেবা পেলেন ইয়ার মহম্মদ।
[সরকারি বাসে উঠে ভাড়া আদায়, সিউড়িতে হাতেনাতে ধৃত নকল কন্ডাক্টর]
দীর্ঘদিন পর নিজের পায়ে হাঁটতে পেরে বেজায় খুশি ইয়ার মহম্মদ। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। ইয়ার মহম্মদ বলেন, ‘এখন কোনও যন্ত্রণা নেই, কষ্ট নেই। আগের মতোই স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছি।‘ আর হাসপাতালে চিকিৎসক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সবসময় সাধ্যের মধ্যে সেরা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি ।এখানকার চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী সকলের চেষ্টায় আগেও অনেক জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাঁটু প্রতিস্থাপন করেও দৃষ্টান্ত গড়লেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।‘ তাঁর আক্ষেপ, অনেকেই জানেন না, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেও হাঁটু প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অস্ত্রোপচার হয়। প্রচার হলে অনেকেই নিঃখরচায় এই পরিষেবা পেতে পারেন।
ছবি: মুকুলেসুর রহমান
[লড়াকু প্রিয়াঙ্কাকে টুইটারে অভিনন্দন জানালেন অক্ষয় কুমার]
The post সফল হাঁটু প্রতিস্থাপন, নয়া নজির গড়লেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা appeared first on Sangbad Pratidin.
