দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) এখন বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প বিপুল সাড়া ফেলেছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেন বিজেপির কাছে মাথাব্যথার কারণ। মঙ্গলবার হুগলিতে গিয়ে এর পালটা হিসেবে নারায়ণ ভাণ্ডারের ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে পালটা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ।
হুগলির পাণ্ডুয়ার খন্যানে যুব মোর্চার এক সম্মেলনে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার, বিধায়ক বিমান ঘোষ, সুরেশ সাউ, দীপাঞ্জন গুহদের মতো নেতৃত্ব। তাঁদের উপস্থিতিতেই নতুন উপস্থিতিতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘দোষীরা যেন ধরা পড়ে’, বিএসএফকে বিঁধেও এগরা কাণ্ডে NIA তদন্ত নিয়ে সুর নরম মুখ্যমন্ত্রীর ]
মোর্চার সম্মেলনে সুকান্ত বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ৫০০ টাকা ঘুষ দিয়ে আমাদের বাড়ির মহিলাদেরকে ভাবছে যে তাঁরা কিনে নিয়েছেন।” এরপরই তিনি জানান, বিজেপি ২০০০ টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করবে এবং তার সঙ্গে কর্মসংস্থানও করবে।
এরপরই সুকান্ত বলেন, “গ্রামের মানুষকে তৃণমূল বুঝিয়ে রেখেছে যে বিজে এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। পাঁচশো টাকা যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয় তাহলে বিজেপি এলে দু’হাজার টাকা দেবে যেটা নারায়ণ ভাণ্ডার। সেটা চালু হবে।” গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর পাশাপাশি নারায়ণও টাকা পাবে বলে আশ্বাস দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এর জবাবে কুণাল ঘোষ বলেন, “সুকান্ত মজুমদার বিজেপির একটা ট্রেনি সভাপতি। ওর উচিত হাফপ্যান্ট পরে ঘোরাফেরা করা। একটা ম্যাচিউরিটি আসেনি। এই যে প্রথম যখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু হল তখন তো ওরা বিরোধিতা করল। দেওয়া যায় না, কেন দেওয়া যাবে, দান খয়রাতির মতো কথা। তারপর দেখছে, ওমা অন্যান্য রাজ্য সবাই তো এগুলোকে নকল করছে! অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কিম সুপারহিট। বাংলার মা বোনেরা গ্রহণ করল। এখন বলছে ২ হাজার টাকা। যারা বলছিল এক পয়সা দেওয়া উচিত নয়। ওই ঠ্যালায় পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে গোছের, এখন বলছে দু’হাজার টাকা। আরে কেন্দ্রের টাকাগুলো আগে দে ভাই তারপর কথা হবে।”
এরপরই আবার তিনি বলেন, “আরেকটা খারাপ কথা বলেছে। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বলছেন, কেন? না মা-বোনেদের স্বনির্ভরতার জন্য, সেখানে উনি বলছেন না নারায়ণ ভাণ্ডার হবে। অর্থাৎ এই যে মহিলাদের প্রতি বিদ্বেষ বিজেপির, মানে একেবারে আদি…ওদের জেনেটিক সমস্যা। মহিলাদের প্রতি বিদ্বেষ, মহিলাদের বেশি ক্ষমতায়ন নয়, মহিলাদের অধিকার নয় — তার প্রতিফলন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেটে নারায়ণ ভাণ্ডার হবে। মা-বোনেদের নামে আছে সেটা তাই থাকবে। এই অপরিণত, বালখিল্য সুকান্ত এইসব করছে। “