অর্ণব দাস, বারাসত: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে ক্রমশ কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরচ্ছে! প্রাক্তনের এসআইয়ের পর এবার পুলিশের জালে ল ক্লার্ক। বারাসতের সমরেশ বিশ্বাসের পর এবার স্ক্যানারে সমীর দাস। অভিযোগ, বাড়িতেই তথ্যমিত্র কেন্দ্রের নামে ভুয়ো আধার-ভোটার বানাত সে। অবশেষে সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
ধৃত সমীর দাসের বয়স ৫৯ বছর। বাড়ি বারাসতের নবপল্লি এলাকায়। পেশায় ল ক্লার্ক। আদালতের কর্মী। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সমীর নিজের বাড়িতেই রীতিমতো অফিস খুলে চলছিল ভুয়ো প্রমাণপত্র তৈরির কাজ। গোপন সূত্রে সেই খবর পাওয়ার পরেই ডেরায় হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল বারাসত থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে অস্থায়ীভাবে একটি তথ্য মিত্র কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল সে। এ নিয়ে প্রচারও করত। বলা হত, স্বল্প টাকা ব্যয় করলেই যে কোনও প্রমাণপত্র পাওয়া যাবে। প্রায় দুবছর ধরে এই কারবার চলছিল বলেই অভিযোগ। পুলিশ তা নজরে রেখেছিল।
ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে বারাসতের সমরেশ বিশ্বাস গ্রেপ্তার হতেই পুরোপুরি স্ক্যানারে চলে আসে সমীর। মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় বারাসত থানার বিশাল পুলিশ। চলে জোরকদমে জিজ্ঞাসাবাদ। কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিনই তাকে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বারাসত আদালতে তোলা হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ধৃত সমীর।