অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: পুলিশের চোখ এড়িয়ে থানা থেকে পালিয়ে গেল চোর। শুধু তাই নয়, পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে চেয়ে সে সোজা গঙ্গায় (Ganga)ঝাঁপ দিল। রবিবার হাওড়ার বালি থানার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও শেষমেশ লক্ষ্যপূরণ হয়নি চোরের। গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফের নিয়ে আসা হয়েছে থানায়। এই ঘটনায় বালি (Bally) থানার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
রবিবার বালি থানার পুলিশের অসতর্কতায় ঘটে গেল অঘটন। থানা থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল চোর সোজা ঝাঁপ মারল গঙ্গায়। পিছন পিছন পুলিশ তাড়া করে গেলেও গঙ্গার ধারে গিয়ে থমকে যায়। কারণ, ততক্ষণে চোর সাঁতরে (Swimming)মাঝগঙ্গায়। তার পিছনে কে ধাওয়া করবে? সাঁতারের পটু চোর ততক্ষণে বেশ কিছুটা দূরে চলে গিয়েছে। জোয়ারের টানে সে ধীরে ধীরে বালি ব্রিজের দিকে চলে যায়।
[আরও পড়ুন: সাপে-মানুষে সহবাস! বাঁকুড়ার এই গ্রামে এখনও বাড়ির সদস্য ফণী]
কিংকর্তব্যবিমূঢ় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের গঙ্গার ঘাট থেকে ‘চোর চোর’ চিৎকার করতে থাকেন। ব্রিজের কাছাকাছি থাকা একটি মাছধরার নৌকার মাঝিদের নজরে পড়ে বিষয়টি। ততক্ষণে এক সাধারণ মানুষ চোরকে তাড়া করে গঙ্গায় ঝাঁপ মেরেছে। দীর্ঘ সাঁতারের ক্লান্ত চোর ততক্ষণে বাঁচার জন্য আকড়ে ধরেছে নৌকা। আর তাতেই তাকে ধরার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়। চোরকে নৌকায় তুলে বালির নিমতলা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তখন পুলিশ তাকে ধরে ফের থানায় নিয়ে আসে।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের বার্তার পরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বায়রন বিশ্বাস, তুঙ্গে জল্পনা]
চোর ধরতে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া বিশ্বজিৎ অধিকারী জানাচ্ছেন, গঙ্গার পাশে তাঁর বাড়ি। তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা ‘চোর চোর’ শুনে তিনি উঠে যান। জানতে পারেন যে চোর গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দিয়ে চোরের পিছু ধাওয়া করেন। নিমতলা ঘাটের কাছে নৌকা দেখে তা থামানো হয়। তারপর চোরকে তাতে তুলে এপাড়ে এসে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কী করে থানা থেকে একজন আসামি পালিয়ে গেল, সেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে বালি থানার পুলিশ।