অর্ণব দাস, বারাকপুর: প্রথমে প্রকাশ্য রাস্তায় গাড়িতে গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা। তাতে ব্যর্থ হয়ে একের পর এক হুমকি ফোন। শুধু একজনকে নয়। বারাকপুরের ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের উপর প্রাণঘাতী হামলার পর হুমকি ফোন পেয়েছেন অনির্বাণ দাস, তাপস ভগতও। তাঁরাও ব্যবসায়ী। প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকায় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে তাঁদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ির সামনে মোতায়েন রয়েছে পুলিশকর্মীরা। আর তার পরই বিপদ যেন বেশি ঘনিয়েছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশের কাছে অভিযোগ অনুযায়ী, বিহার থেকে ফের ফোনে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, ''সিকিওরিটি পেয়েছ শুনলাম। যদি মার্ডার করার হয়, আমি এমনিই করে দেব।'' আরও অভিযোগ, এসবের নেপথ্যে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং রয়েছেন বলে দাবি হুমকিদাতার।
বারাকপুরের (Barrackpore) হোটেল ব্যবসায়ী তাপস ভকত, যিনি আগেও বহুবার প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েছিলেন, এবারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিরাপত্তার দাবি করেন। তিনিই এবার পুলিশে অভিযোগ করলেন, নিরাপত্তা বৃদ্ধির পরও হুমকি ফোন (Threat call) এসেছিল বিহার থেকে। তাপসবাবু জানান, গত ১৯ জুন বিহারের (Bihar) বেউর জেল থেকে একটি ফোন আসে তাঁর কাছে। সেই ফোনে বলা হয়, ''দুটো সিকিউরিটি পেয়েছ শুনলাম। আমার কাজ করার ইচ্ছা থাকলে এমনিই কাজ করে দেব। যদি মার্ডার করার হয় আমি করে দেব।''
[আরও পড়ুন: স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হিনা খান, আপনি কখন সতর্ক হবেন? জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য়]
তাঁর আরও অভিযোগ, ''প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) নাকি বিহারের জেলবন্দি ওই দুষ্কৃতীকে বরাত দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে আমি জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে আমার একটা তিক্ততার সম্পর্ক হয়েছিল। ফোনে এ কথাও বলা হয়, এলাকায় যেসব বোমা-গুলি চলছে, সব প্রাক্তন সাংসদের নির্দেশমতোই হচ্ছে।'' কথোপকথনের রেকর্ড তিনি তুলে দিয়েছেন পুলিশের হাতে। তবে এনিয়ে অর্জুন সিংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারকদের দেবতা ভাবা ভুল’, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির]
এদিকে, ১৫ জুন ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলিচালনার ঘটনায় বিহার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বারাকপুর গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃত সাহিল কুমার, রাহুল কুমার, অঙ্কিত কুমারকে শনিবার তোলা হয়েছে বারাকপুর মহকুমা আদালতে। পাঁচদিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) ৩৮৪, ৩৮৬, ৩০৭, ১২০ বি/৩৪ এবং অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।