দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রাস্তার পাশে একের পর এক পড়ে রয়েছে দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার বোমার খোল। হাড়হিম করা কাণ্ড ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামে। পঞ্চায়েত সদস্য এবং দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে গলা কেটে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি, ভূতনাথ এবং ঝন্টু নামে দুই তৃণমূল সদস্য বাড়ি থেকে বেরন। তাঁরা প্রত্যেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিংয়ের (Canning) গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁরা তিনজনই বাইক চড়ে যাচ্ছিলেন। পিয়ার পার্কের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁদের পথ আটকায়। এরপর গুলি চালাতে থাকে। তিনজনই রাস্তার পাশে লুটিয়ে পড়েন। সেই সময় তাঁদের গলার নলি কেটে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: অফিস টাইমে হাওড়াগামী উলুবেড়িয়া লোকালে বিপত্তি, চলন্ত অবস্থায় খুলল ট্রেনের কাপলিং]
স্থানীয়রা দেখেন, রক্তে ভেসে যায় চতুর্দিক। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে তিনটি দেহ। বাইকগুলিও পড়ে যায়। মৃতদেহগুলির পাশ থেকে বোমার খোল উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পাওয়ামাত্রই নিহতদের পরিজনেরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর পায় ক্যানিং থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, গুলি করে খুনের পর গলার নলি কেটে দেওয়া হয় নেতা এবং দুই তৃণমূল কর্মীর।
কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই খুনের ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে চাপানউতোর। কারও কারও দাবি, শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলেই খুন হন তিনজন। তবে তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপিই রয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।