সুমন করাতি, হুগলি: এসআইআরের খসড়া তালিকা বেরতেই দেখা গিয়েছিল মৃতদের তালিকায় নাম রয়েছে ডানকুনি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সূর্য দে-র। জলজ্যান্ত মানুষকে 'মৃত' বানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন! ঘটনায় আরও বিতর্ক দেখা যায়। কারণ, ওই তৃণমূল কাউন্সিলর সূর্য দে নিজেই নিজের সৎকার করতে শ্মশানে চলে গিয়েছিলেন। এবার সেই কাউন্সিলরেরই 'প্রতীকী মৃত্যুর' 'প্রতীকী শোকসভা' হল। সেই স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে নির্বাচন কমিশন, বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, রবিবার ডানকুনি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের 'স্মৃতিতে' একটি প্রতীকী শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এসআইআর, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে কাটগড়ায় তুলেই এই স্মরণসভা। এমনই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খোদ ওই কাউন্সিলর সূর্য দে। আসেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, "এতদিন ভগবানের হাতে ছিল জন্ম-মৃত্যুর হিসাব। এবার বিজেপির দৌলতে নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে জন্ম-মৃত্যুর ক্ষমতা।" এসআইআরকে বিঁধে কমিশনকে একহাত নিলেন তিনি।
মঞ্চে টাঙানো রয়েছে ফ্লেস্ক। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেন তিনি। মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল করা নিয়ে চলছে বিতর্ক। কল্যাণ বলেন, "জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়েছিল মনরেগা। বিজেপি সরকার নতুন আইন করে সেই নাম পরিবর্তন করেছে। এটা সরাসরি মহাত্মা গান্ধীর অপমান।" রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নাম না করে কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। এসআইআর হলে রোহিঙ্গাদের নাম সামনে আসবে, এই কথা বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল? একজন রোহিঙ্গার পরিচয়ও মিলল? সেই প্রশ্ন করা হয়েছে।
খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা গিয়েছিল ওই তৃণমূল কাউন্সিলর মৃতের তালিকায় রয়েছে। সেই কথা জানার পরেই তিনি সটান শ্মশানে চলে গিয়েছিলেন নিজেকে দাহ করতে। এদিনের শোকসভা আরও একবার ওই বিষয়কে উসকে দিল। সেই ঘটনায় বিস্তর শোরগোল ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনায় বিএলও এবং এইআরও-কে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
