শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভোটের মুখে দলত্যাগী মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধ অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। তবে তা জানার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে পদ ছাড়লেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যারাঁ তৃণমূল (TMC) ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আবু তাহের খান।
মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে মোশারফ হোসেনের রাজনীতিতে প্রবেশ। দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস (Congress) ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে মোশারফ যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদে বসেন মোশারফ। সম্প্রতি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় খানিকটা দোলাচলে ছিল। একদিকে, একদা রাজনৈতিক গুরু শুভেন্দুর বিজেপিতে চলে যাওয়া, অন্যদিকে, নিজের দলের কাজে ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় তৃণমূলের তরফেও কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরই কংগ্রেসে ফিরে যান তিনি। তৃণমূল থেকে মোশারফ বহিষ্কৃত হলেও জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও আইন নেই। ফলে পদে আসীন ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন:কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু]
এদিকে ঘর ওয়াপসি হওয়ায় বিধানসভা ভোটে মোশারফকে টিকিট দেয় কংগ্রেস। নওদা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তবে জয়ের মুকুট ওঠেনি মাথায়। এই পরিস্থিতিতে বুধবার মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানান, ২৪ মে আনাস্থা আনা হবে মোশারফ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। পাশপাশি আইনি পদক্ষেপ করা হবে তাঁর সঙ্গে বাকি যাঁরা দলত্যাগ করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে। অনাস্থা এড়াতে বুধবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ ত্যাগ করেন মোশারফ হোসেন।