বাবুল হক, মালদহ: পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ইংরেজবাজারের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার হত্যাকাণ্ডের কিনারা হয়নি। এদিকে মালদহ টাউনের তৃণমূল সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তাঁর দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ এবং অখিলেশকে ম্য়ারাথন জেরা করছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এতেই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব।
গত ২ জানুয়ারি, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলা সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নামামাত্রই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলরের। এই ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন এবং বাবলু যাদব। জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে ২ লক্ষ টাকা করে তাদের মাথার দাম ধার্য করা হয়েছে।
তবে মোটিভ কী? তা এখনও রহস্য। এই রহস্যভেদেই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মালদহ টাউনের তৃণমূল সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তাঁর দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ এবং অখিলেশকে তলব করে পুলিশ। ইংরেজবাজার থানায় দীর্ঘক্ষণ ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির কথায়, "এই ঘটনায় আমাদের বাড়ির কেউ জড়িত নেই। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। তবে আমরা পুলিশকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করছি।" উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পুরভোটে নন্দু শিবির এবং দুলাল শিবির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। দুলাল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নন্দু এবং তাঁর ভাইকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরেই এই খুন নয় তো? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।