সৌরভ মাজি, বর্ধমান: টোলপ্লাজায় সাংসদের গাড়ি আটকেছিলেন এক কর্মী। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। গাড়ি থেকে নেমে মারধর শুরু করেন টোলপ্লাজার কর্মীকে। মারধরের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ঘটনা নিয়ে সাংসদেল সাফাই, “মারধর কোথায় করেছি, আদর করেছি তো!”
বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুনীল মণ্ডল। কলকাতা থেকে পালশিট টোল পেরিয়ে যাওয়ার সময়ে আনুমানিক বেলা সোয়া একটা নাগাদ কর্তব্যরত টোল কর্মী উজ্জ্বল সিং সর্দার নিয়ম মেনেই গাড়ি আটকান। গাড়ির সামনে একটি লাল ফাইবারের স্ট্যান্ড লাগিয়ে দেন উজ্জ্বল। চালক সেই প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু আটকে যায় গাড়ি। এরপরই সাংসদ সুনীল মণ্ডল গাড়ির পিছনের সিট থেকে নেমে এসে হম্বিতম্বি শুরু করেন ওই কর্মীর উপর। প্রথমে হাত তুলে মারতেও উদ্যত হন। এরপরই টোলপ্লাজার ওই কর্মীর মুখে মারেন। এমনকী গলাও টিপে ধরেন বলে অভিযোগ। টোলপ্লাজার অন্য কর্মীরা ছুটে আসেন। দুইহাত দিয়ে সাংসদকে আঁকড়ে মারধর থেকে টোলকর্মীকে বাঁচান। পুরো ঘটনা টোল প্লাজার সিসি অ্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: টনক নড়ল প্রশাসনের, শিলান্যাসের ৭ বছর পর পুরুলিয়ায় থমকে থাকা সেতুর কাজ শুরুর উদ্যোগ]
সাংসদ সুনীল মণ্ডল অবশ্য প্রথমে মারধরের কথা মানতেই চাননি। তিনি বলেন, “আমি গাড়ি থেকে নেমে ছেলেটিকে আদর করেছি। ওকে বলেছি, তোর এলাকার সাংসদকে তুই চিনিস না। ওকে মারধর কেন করতে যাব।” যদিও ভিডিও ফাঁস হতেই সাংসদ স্বীকার করেন উত্তেজনার বশে করে ফেলেছেন। সাংসদের নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। দলের বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “একজন সাংসদের এই কাজ অবশ্যই ধিক্কারযোগ্য।” তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সে যেই হোক, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না।”
