সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বি আর আম্বেদকরকে অপমানের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে দলের সর্বস্তরকে পথে নামিয়ে বছর শেষে সংগঠনকে আরও মজবুত এবং চাঙ্গা করে তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ - বিজেপিকে ধিক্কার জানিয়ে মিছিল নিয়ে সোমবার পথে নেমেছিল তৃণমূল। সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেবের ছবি সামনে রেখে বিজেপির দলিত-বিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সেই মিছিলে তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। নেত্রীর নির্দেশে দলের সর্বস্তরের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য ও কাউন্সিলররাও অমিত শাহকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছেন।
বছর শেষে বিরোধীরা যখন 'মিসড কল' দিয়ে সদস্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দলিত-বিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ধিক্কার মিছিলের ইস্যুতে নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করে নিয়েছে। লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচনে যেখানে দল এগিয়েছিল সেখানে যেমন দীর্ঘ মিছিল হয়েছে, তেমনই যে সমস্ত বুথে তৃণমূল সামান্য পিছিয়ে গিয়েছিল সেখানে আম্বেদকর ইসুতে বিজেপিকে কার্যত টুঁটি চেপে ধরে অমিত শাহদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। দলীয় নেতৃত্বের কথায়, আম্বেদকর ইস্যুতে রীতিমতো ঝাঁকুনি দিয়ে তৃণমূল সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করে নিল।
সোমবার আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে মিছিল তৃণমূলের। নিজস্ব ছবি।
সংবিধান নিয়ে বিতর্কে সংসদে দাঁড়িয়ে সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরকে যে অপমানজনক ভাষায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন তার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ''বাবাসাহেবের অপমান মানেই সংবিধানের অপমান, দেশবাসীর অপমান। অবিলম্বে নতজানু হয়ে জনতার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।'' এরপরই নেত্রীর নির্দেশে সংসদের ভিতরে ও বাইরে তৃণমূল সাংসদরা আম্বেদকরের অপমানের ইসুতে সরব হয়েছিলেন। আর এদিন সাগর থেকে পাহাড় - পথে নেমেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। আর বুঝিয়ে দিলেন, পথে নেমে রাজনৈতিক লড়াইয়ের বিকল্প নেই। যে পথ একদা দেখিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।