সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুতে (Jadavpur University Death Case) তোলপাড় রাজ্য। মৃত ছাত্রের বাবাকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এবার রানাঘাটে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন তাঁরা। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজাদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রাখলেন মৃত ছাত্রের বাবা। জানালেন, দ্রুত তদন্ত করছে প্রশাসন। ৯ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। এরা প্রত্যেকেই জড়িত।
বুধবার নদিয়ার রানাঘাটের বগুলা গ্রামে মামার বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা ও তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষও। ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সরকার ও দল পরিবারের পাশে আছে। যাদবপুরে নৈরাজ্য চলছে। হনুরাজ চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে।” তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি রাজ্যপালকেও একহাত নেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “রাজ্যপাল যা ইচ্ছে করতে পারেন না। সন্তানহারাদের কথা ভেবে অন্তত মানবিক হোক রাজ্যপাল।”
[আরও পড়ুন: মা মুক্তি পেতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের]
রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মৃত ছাত্রের বাবা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ছেলেকে হারানোর পর মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন।খোঁজ নিয়েছিলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” তাঁদের ফাঁসি চান মৃত ছাত্রের বাবা। এদিকে এদিন নদিয়া বগুলার বাসিন্দারা যাদবপুর ক্যাম্পাসে মিছিল করেন।
[আরও পড়ুন: কী বলতে হবে পুলিশকে? যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর ৪ বার জিবি বৈঠকে ‘ক্লাস’ নেয় প্রাক্তনীরা!]
