অর্ণব দাস, বারাসত: প্রচারে যোগ দিতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরুণ সদস্যের। মৃতের নাম অরিন্দম দে (২২)। মঙ্গলবার মধ্যমগ্রামের (Madhyamgram of North 24 Parganas) তৃণমূল প্রার্থী রথীন ঘোষের হয়ে প্রচারে যাচ্ছিলেন যুবক। বাদু রোডের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। চিকিৎসার অভাবেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অরিন্দম। এমনই অভিযোগ উঠেছে বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার এই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বেসরকারি ওই হাসপাতালে। অভিযোগ, বেড না থাকার অজুহাতে আহত যুবককে ভরতি নেওয়া হয়নি। চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয় অরিন্দমের। অভিযোগ তাঁর পরিবারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত অরিন্দম দে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাবা, মা ছাড়াও তাঁর এক ছোট বোন রয়েছে। মধ্যমগ্রাম এপিসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অরিন্দম পড়াশোনার পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরও (TMCP) সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভোটে না লড়েও কেউ হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী’, জল্পনা উসকে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিলীপের]
এদিন সকালে মধ্যমগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী রথীন ঘোষের (TMC Candidate Rathin Ghosh) ভোট প্রচারে যোগ দিতে পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন যুবক। বাদু রোডের হুমাইপুর মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায় তাঁর বাইক। মাথায় গুরুতর চোট লাগে।স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিটি স্ক্যানের জন্য আহত যুবককে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইমতো এদিন বারাসতের যশোর রোডের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে আহত যুবককে নিয়ে যান পরিবারের লোক ও বন্ধুরা।
অভিযোগ, বেড না থাকার অজুহাতে চিকিৎসা না করে বেশ কিছুক্ষণ অরিন্দমকে ফেলে রাখা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিবার ও বন্ধুরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। তারপর যুবককে ভরতি করা হয় বারাসত হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ক্ষোভে ফেটে পরে যুবকের পরিবার ও বন্ধুরা। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “ওই বেসরকারি হাসপাতাল যদি অরিন্দমের চিকিৎসা করত তাহলে চিকিৎসা না পেয়ে এভাবে ওঁকে মরতে হত না।” তিনি আরও জানান, হাসপাতালে কোনও ভাঙচুর করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ সঠিক নয়। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী সুশান্ত ঘোষ বলেন, “নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ সঠিক নয়। ওঁরা বাইরের লোকজন এনে গণ্ডগোল করেছে। ভাঙচুর করেছে হাসপাতালের আসবাবপত্র। নিরাপত্তারক্ষীকেও মেরেছে ওরা।”