শেখর চন্দ্র, আসানসোল: দোলের দিন যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিল এক আদিবাসী নাবালিকা। পুলিশ এক অভিযুক্তকে ধরলেও বাকিরা পলাতক। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি তুলে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসী মহিলা। লাঠি, দা, কুড়ুল, ঝাঁটা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি পাঁচগেছিয়া কদমডাঙা এলাকার। দোলের দিন শুক্রবার এক আদিবাসী নাবালিকা মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিল। ওই মাঠেই চার যুবক মদ্যপান করছিল। নাবালিকা ফেরার সময় ওই যুবকরা তাকে তাড়া করে। প্রাণ বাঁচাতে প্রাণপণ ছুটলেও তাকে ধরে ফেলে ওই যুবকরা। এরপর কিশোরীর যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ছাড়া পেয়ে নাবালিকা বাড়ি ফিরে সব ঘটনা খুলে বলে। শনিবার আসানসোল উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনায় স্থানীয় দুজনের নামে প্রথমে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথ রুইদাসকে গ্রেপ্তার করে আসানসোল আদালতে পাঠায় পুলিশ। অন্য অভিযুক্ত বাপি রায়ের খোঁজে তল্লাশি চলে। কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় এদিকে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে। রবিবার আসানসোল উত্তর থানার সামনে জড়ো হন আদিবাসী মহিলারা। তাঁদের সঙ্গে ছিল লাঠি, দা, কুড়ুল-সহ একাধিক অস্ত্র। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলতে থাকে। অবিলম্বে বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আদিবাসী সমাজের মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতে সোচ্চার হন সকলে। পুলিশ বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত পাকড়াও করার আশ্বাস দিয়েছে।