অরূপ বসাক, মালবাজার: বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লোকসভা ভোটের পরই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ মেনে দীর্ঘদিন ধরেই ‘দিদিকে বলো’র প্রচার শুরু করেছিলেন নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করা। এবার ‘দিদিকে বলো’র প্রচারে দেখা গেল মালবাজারের বিধায়ক বুলুচিক বড়াইককে। যে গ্রামের বাসিন্দারা কোনওদিনও বিধায়ককে কাছে পাননি সেই তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছলেন বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সারাদিন তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘোরেন বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাল ব্লকের আহ্বায়ক রাজা শর্মা, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইয়াসুল আম্বিয়া, তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অন্যান্যরা। এদিন সকাল থেকেই গ্রামে ঘোরেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক। শোনেন তাঁদের সমস্যার কথা। আশ্বাস দেন সমাধানের। জানা গিয়েছে, দলের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার রাতে গ্রামেই থাকবেন বুলুচিক বড়াইক। বিধায়কের কথায়, ‘বুধবারও গ্রামে মানুষের সঙ্গেই থাকব। আবার এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলব। সেই সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’তে সরাসরি অভিযোগ করার ফোন নম্বরটিও বিলি করব সকলের মধ্যে। যাতে যে কোনও সমস্যায় সকলের তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।’
এই প্রথম কোনও বিধায়ক পৌঁছেছেন তেশিমলা গ্রামে। জনপ্রতিনিধিকে কাছে পেয়ে আপ্লুত গ্রামবাসীরা। অনেকেই আশার আলো দেখছেন যে হয়তো খুব শীঘ্রই তাঁদের গ্রামের সব সমস্যার সমাধান হবে। স্থানীয় মহম্মদ ইকবাল, মহম্মদ বাবু জানান, রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যাবস্থা, পানীয় জলের সমস্যা, নদী ভাঙ্গন-সহ একগুচ্ছ সমস্যা রয়েছে গ্রামে। এত বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি এহেন একাধিক সমস্যার কথাই বিধায়ককে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই নিরাশ করেছিল শাসকশিবিরকে। এরপরই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই কর্মসূচির প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাংসদেরা। হারানো জমি পুনরুদ্ধারে একফোঁটা গাফিলতি রাখতেও নারাজ তৃণমূল নেতারা।
[আরও পড়ুন: বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে নিজে হাতে দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন সাংসদ মিমি]
The post নতুন উদ্যমে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি, এবার না যাওয়া গ্রামে জনসংযোগে মালবাজারের বিধায়ক appeared first on Sangbad Pratidin.
