গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল একটি ট্রাক। ওই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ভোলানাথের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল ট্রাকচালক। এবার পুলিশের জালে ওই 'খুনে'র ঘটনার মূল অভিযুক্ত চালক আবদুল আলিম মোল্লা। রবিবার গভীর রাতে ন্যাজাট থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বসিরহাটের মিনাখাঁ থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়।
দুর্ঘটনার সময়ে আবদুল আলিম মোল্লাই গাড়ি চালাচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তাকে কি কেউ ওই কাজের জন্য সুপারি দিয়েছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সেসব বিষয় খতিয়ে দেখছে। ভোলানাথ ঘোষের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার পর ট্রাক থেকে নেমে পালায় আবদুল। একটি বাইকে উঠে সে পালিয়েছিল বলে জানা যায়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল এটা কি নিছকই দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে কোনও নিগূঢ় কারণ আছে?
গত ১০ ডিসেম্বর সকালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বয়ারমারি এলাকার রাস্তায় একটি ট্রাকের সঙ্গে চারচাকা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। দুর্ঘটনায় গাড়িটি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রা গাড়িতে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। ঘটনাস্থলেই দু'জন মারা যান। ঘটনার কিছু সময় পরে জানা যায়, ওই গাড়িটি শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষের। সেসময় তিনি গাড়িতেই ছিলেন। দুর্ঘটনায় মারা যান ভোলানাথ ঘোষের ছোট ছেলে সত্যজিৎ ও চালক শাহনুর আলম। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ভোলানাথ। বসিরহাটের ন্যাজাট থানার রাজবাড়ি আউটপোস্টে ভোলা ঘোষ ঘটনার পরে আটজনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এফআইআরে এক নম্বরে অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল এই ট্রাকচালকের। পুলিশ তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
