জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পৈতৃক ভিটে বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের অভিযোগে তুলে ঠাকুর বাড়িতে অনশনে বসলেন ঠাকুরবাড়ির 'মেয়ে'। মতুয়া সংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা আমরণ অনশনে বসেছেন। যোগ দিয়েছেন মমতাবালাও। সঙ্গে রয়েছেন একাধিক মতুয়া ভক্ত। মতুয়া ধর্মমেলা চলাকালীন বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে ঢুকেছিল সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। পরে সেই ঘরের তালা দিয়ে দেন। জানিয়েছিলেন, বড়মার ঘর ভক্তদের। ভক্তরা তালা দিয়েছে। এবার থেকে তাঁরা পুজো করবেন। সেই ঘর ফিরে পেতেই ধরনায় বসলেন মমতাবালা ও তাঁর মেয়ে।
বীণাপানি দেবীর পাশের ঘরে থাকতেন মমতাবালা ঠাকুর (Mamatabala Thakur)ও তাঁর মেয়ে মধুপর্ণা। এই ঘটনায় মমতাদেবী অভিযোগ করেছিলেন, শান্তনু ঠাকুর তাঁর ঘর থেকে বিতাড়িত করেছে। গোডাউন ঘর এবং আশপাশের কিছু ঘরে মেয়েকে নিয়ে থাকছেন তিনি। এবার সেই ঘর ফিরে পাওয়ার দাবিতে সোমবার সকাল ১১টা থেকে ঠাকুরবাড়িতে বীণাপানি দেবীর ঘরের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে অনশনে যোগ দিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর, একাধিক মতুয়া (Motua)ভক্ত ও ।
[আরও পড়ুন: ‘মাছ খেয়ে দেখুন, কথা দিচ্ছি নিজে রান্না করব’, মোদিকে আমন্ত্রণ মমতার]
এদিন ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বীণাপানি দেবীর ঘরের পাশে একটি খাটিয়া পেতে মধুপর্ণা দেবী বসে আছেন। পিছনে ব্যানারে লেখা 'আমরণ অনশন। আমাদের পৈতৃক ভিটেবাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার কি অপরাধ?তার জন্যই কি আমাদের ঘরছাড়া হয়ে থাকতে হবে? সমগ্র ভারতবাসী কাছে এর বিচার চাই।"
মধুপর্ণা বলেন, "আমরা মেয়ে বলে কি নিজের বাবার সম্পত্তিতে যেতে পারব না? মেয়ে বলে কি অধিকার থেকে বঞ্চিত হব? শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur) আমাদের উৎখাত করেছে। আমরা নিজেদের ঘরে থাকি না। আমরা সমগ্র মতুয়া সমাজ ভারতবাসীর কাছে এর বিচার চাই।" মমতা ঠাকুর বলেন, "আমাদের নিজেদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এবং আমাদের ঘর ফিরে পাওয়ার দাবিতে এই ধরনা।" এবিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, "মা-মেয়ে মিলে বড়মার ওই ঘর দখল করেছিল। টিএমসি (TMC) ক্যাডারদের আড্ডাখানা হয়ে গিয়েছিল। ভক্তরা ঢুকতে পারত না | আমি কিছুই করিনি ভক্তরা ঘর দখল করে তালা মেরেছে। ভক্ত সমাজ চেয়েছে ওই বিল্ডিংটা হেরিটেজ হোক।"