ধীমান রায়, কাটোয়া: গভীর রাতে ভিন এলাকায় গিয়ে ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম (Ausgram) থানার পুলিশ। রবিবার মধ্যরাতে স্থানীয়রাই ওই অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আজই তাদের তোলা হয়েছে আদালতে। তবে এখনও বেপাত্তা এক অভিযুক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম থানার বটগ্রামের বাসিন্দা মোস্তাকিম শেখ নামে এক ব্যবসায়ীর মালবাহী একটি ছোট গাড়ি আছে। গোরু কেনাবেচার সঙ্গেও যুক্ত তিনি। রবিবার রাতে মঙ্গলকোট থানার নিগনের কাছে কয়েকটি গোরু নামিয়ে ফাঁকা গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সঙ্গে ছিলেন খালাসি রাজেশ শেখ। ব্যবসার প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা তাঁদের কাছে ছিল। অভিযোগ, গাড়ি নিয়ে নতুনহাট গুসকরা রোড ধরে আসার সময় মঙ্গলকোটের জালপাড়ার কাছে দুটি বাইকে তিনজন যুবক মোস্তাকিমের পথ আটকানোর চেষ্টা করে। ওই ব্যবসায়ী সজোরে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে তাঁর গাড়ির পিছু নেয় ওই তিনজন।
[আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো’ চিকিৎসকের হাতে রোগীর মৃত্যু, নার্সিংহোমের সঙ্গে বিবাদে মাথা ফাটল মৃতের পরিজনের]
মোস্তাকিম বলেন, “জালপাড়া পেরিয়ে আসার সময় ওরা আমায় ওভারটেক করে। তারপর কিছুটা দুরে মঙ্গলকোটের রসুনিয়ার কাছে গাড়ির সামনে বাইকদুটি দাঁড় করিয়ে দেয়। নিজেদের সিভিক ভলান্টিয়ার বলে পরিচয় দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। কিন্তু আমি টাকা দিতে চাইনি। ওরা আমায় দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি বাড়ির দিকে পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে ওরা পিছু ধাওয়া করে।” সেই সময় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসতে আসতেই পরিচিত কয়েকজনকে ফোন করেন মোস্তাকিম। ফোন পেয়ে পিচকুড়ি এলাকায় হাজির হন বেশ কয়েকজন। তাঁরাই বাইকে থাকা সুজয় মাঝি ও গোপালকৃষ্ণ পালকে ধরে ফেলেন। তবে সুযোগ বুঝে চম্পট দেয় বিশ্বজিৎ মেটে নামে একজন। মোস্তাকিম রাতেই তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশের হাতে তুলে দেয় অভিযুক্তদের। জানা গিয়েছে, পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ এনেছে। পলাতক সিভিক ভলান্টিয়ারের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত টালা থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসি, আপাতত দায়িত্বে চিৎপুর থানার অফিসার]
The post গভীর রাতে ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের চেষ্টা, পুলিশের জালে ২ সিভিক ভলান্টিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.