shono
Advertisement
Nadia

নদিয়ায় পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে বেরিয়েই দুই নাবালিকার বিয়ে! ক্ষোভ শিশু কমিশনেরও

এই ঘটনা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
Published By: Suhrid DasPosted: 04:55 PM Mar 16, 2025Updated: 04:55 PM Mar 16, 2025

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: গ্রামে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানতে পেরে তা বন্ধ করেছিল পুলিশ। তখনকার মতো মুচলেকা লিখিয়ে দুই পরিবারকে নিরস্ত করা গেলেও দু’দিন পর ফের ঘটা করে বিবাহ-পরবর্তী অনুষ্ঠান করা হয়। দ্বিতীয়বার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পুলিশ কোনও ব‌্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। এই ঘটনা ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

Advertisement

ঘটনাটি নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকার। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশের দায়সারা ভূমিকার সমালোচনা করেছেন শিশু কমিশনের চেয়ারপার্সনও। পুনরায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের সোমবার ধানতলা থানা এলাকার গ‌্যাস গোডাউন এলাকায় বছর উনিশের সজল বিশ্বাসের সঙ্গে বছর ষোলোর এক নাবালিকার বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। এদিকে, পাত্রপক্ষের আত্মীয় আবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের আসর থেকেই দুপক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে শুধুমাত্র মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

নাবালিকাকে ছেড়ে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এরপর বৃহস্পতিবার ফের স্থানীয় কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বুলু অধিকারীর উপস্থিতিতে বিবাহ-পরবর্তী অনুষ্ঠান হয়। বিষয়টি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফের জানানো হয় ধানতলা থানায়। খবর পেয়েও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস‌্যরা। যদিও, চাপের মুখে পড়ে পাত্র সজল বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান বুলু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ওই ছেলের আর কোনও সম্পর্ক নেই। বিয়ের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ সব জেনেও তিনি নিজে কেন আইনি ব্যবস্থা নিলেন না? সেই প্রসঙ্গে বুলু বলেন, ‘‘পুলিশ তো সবটা জানে, এখানে আমি কী করব?’’

পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অন্য সাফাই দেওয়া হয়েছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার ডিএসপি (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে। ঘটনার পুনরায় তদন্ত করব। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে কোনওরকম বেআইনি কিছু হয়ে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ভারতীয় আইনে নাবালিকা বিবাহের ক্ষেত্রে মুচলেকা দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। শুধু পাত্রপাত্রী নয়, তাদের আত্মীয় এমনকী, উপস্থিত অতিথিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আছে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গ্রামে নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানতে পেরে তা বন্ধ করেছিল পুলিশ। 
  • তখনকার মতো মুচলেকা লিখিয়ে দুই পরিবারকে নিরস্ত করা গেলেও দু’দিন পর ফের ঘটা করে বিবাহ-পরবর্তী অনুষ্ঠান করা হয়।
  • দ্বিতীয়বার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
Advertisement