গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সুন্দরবনের (Sunderbans) রায়মঙ্গল নদী পেরনোর ভেসেলে গাড়ি তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। পরিবহণ দপ্তরের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ। এসবের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে হিঙ্গলগঞ্জে বন্ধ ভেসেল পরিষেবা (Vessel service)। ব্যাপক সমস্যায় যাত্রী ও পর্যটকরা। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ থানার রায়মঙ্গল নদীতে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ। নদীর দু’ধারে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী ট্রাক (Truck)। ভেসেল চালকদের দাবি, মারধরের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে। নইলে ভেসেল পরিষেবা চালু হবে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ভেসেলে একটি চারচাকা গাড়ি তোলাকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত। চারচাকা গাড়িটি ভেসেলে তুলতে না চাওয়ায় ভেসেলের চালক রুহুল আমিন গাজি-সহ ঐ ভেসেলে কর্মরত পরিবহণ দপ্তরের চার কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভেসেলের চালক-সহ কর্মীরা। তার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে ভেসেল বন্ধ করে প্রতিবাদ (Protest) বিক্ষোভে নামেন কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ মহাভারতের ‘শকুনি মামা’ অভিনেতা গুফি পেন্টাল, ভরতি হাসপাতালে]
এর জেরে রায়মঙ্গল (Raimangal) নদীর এক পাড়ে দুলদুলি, কালীতলা, যোগেশগঞ্জ, সাহেবখালি-সহ প্রায় সাতটি পঞ্চায়েত এলাকা এবং অন্যদিকের সাণ্ডেলেরবিল ও হিঙ্গলগঞ্জ-সহ বসিরহাট ও কলকাতা থেকে সুন্দরবনগামী সমস্ত পরিবহণ ও জলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা থমকে গিয়েছে পুরোপুরি। কয়েকশো গাড়ি রায়মঙ্গলের দুই পাড়ে সার দিয়েছে দাঁড়িয়ে আছে। আটকে পড়েছেন সুন্দরবনের বহু পর্যটক ও কয়েক লক্ষ মানুষ।
[আরও পড়ুন: সেনার অনুষ্ঠানের মঞ্চে হোঁচট, বক্তৃতা সেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বাইডেন, ভাইরাল ভিডিও]
নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি হাসপাতাল যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো এই ভেসেল পরিষেবা। যার ফলে বিপক্ষে পড়েছে বহু যাত্রী। প্রচণ্ড গরমে শয়ে শয়ে পণ্যবাহী গাড়ি দাঁড়িয়ে। ত্রাহি ত্রাহি রব শুরু হয়েছে সুন্দরবনের লেবুখালিতে। যেসব কাঁচামাল রয়েছে সেগুলো পচন শুরু হতে পারে। অন্যদিকে সরকারি ও প্রাইভেট গাড়ি আটকে যাওয়ার ফলে পরিবহণ থমকে গেছে। যে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে অবিলম্বে তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভেসেল কর্মীরা।