ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ৬ দিন ধরে টানা ছাত্র বিক্ষোভের জেরে উত্তাল বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University)। উপাচার্যের বাসভবনের গেটের বাইরে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখতে বাসভবনে গেলেন চিকিৎসক ও নার্স। তবে ছাত্রদের দাবি না মানায় চিকিৎসককে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলেই খবর। পরর্তীতে রাজ্যের তরফে চিকিৎসক পাঠানো হলে তাঁদের ফিরিয়ে দেন উপাচার্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎই অ্যাম্বুল্যান্সে করে বিশ্বভারতীর পিয়ারসন হাসপাতালের চিকিৎসক দল পৌঁছন উপাচার্যের বাসভবনে। সেই দলে ছিলেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিএমও অরিন্দম চট্টপাধ্যায়, চিকিৎসক অনির্বাণ দাসগুপ্ত ও দুই নার্স। তাঁরা ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করতেই সমস্যার সূত্রপাত। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের দুই প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিলে তবেই ডাক্তারদের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: COVID-19 UPDATE: রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষের দোরগোড়ায়, একদিনে মৃত ১৩]
কিন্তু এই দাবি মানতে রাজি হননি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যার ফলে বাইরে থেকেই ফিরে যেতে হয় চিকিৎসকদের। এ বিষয়ে CMO অরিন্দম চট্টপাধ্যায় বলেন, “উপাচার্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসেছিলাম। ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে ভিতরে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু তার অনুমতি মেলেনি। তাই ফিরে যাচ্ছি।”
এই বিষয়ে আন্দোলনরত ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, “আমরা ডাক্তারদের যেতে বাধা দিইনি। চেয়েছিলাম আমাদের দু’জন প্রতিনিধি ডাক্তারদের সঙ্গে ভিতরে যাক।” বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে এরপরই তিনি বলেন, “আসলে উপাচার্য এবার নাটক করছেন। তিনি ভাল করে জানেন ছাত্র আন্দোলন চলবে। তিনি ঘেরাও থাকবেন। তাই এসব করছেন। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা উপাচার্যের খাবার বা চিকিৎসা কোনও কিছু আটকাতে চাইছেন না। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের তরফে ৬ চিকিৎসকের একটি দল পাঠানো হয় উপাচার্যের বাসভবনে। কিন্তু তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেননি বিদ্যুৎবাবু। বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায় উপাচার্যকে ফোন করলে তাঁর মেয়ে জানান যে, বাবা বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই মুহূর্তে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।