নন্দন দত্ত, বীরভূম: অমর্ত্য সেন-বিশ্বভারতীর জমিজট কাটছে না কিছুতেই। একদিকে বিশ্বভারতী জমি দখল করতে পারে, এই আশঙ্কায় আদালতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। অন্যদিকে হেয়ারিংয়ে উপস্থিত না হওয়ায় ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর। ইতিমধ্যেই এই মর্মে অমর্ত্য সেনের আইনজীবীকে নোটিস দেওয়ার পর ‘প্রতীচী’র দেওয়াল সেই সাঁটাল বিশ্বভারতীয় রেজিস্ট্রার (Viswa Bharati University)।
বিশ্বভারতীর সঙ্গে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) ১৩ ডেসিবেল জমি নিয়ে সমস্যা বহুদিনের। তবে বর্তমানে বিদেশে নোবেলজয়ী। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে যে কোনও সময় তাঁর জমি দখল করতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যাতে জমি দখল করা যায় যায়, সে বিষয়ে বোলপুর মহকুমা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হন বাড়িটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা গীতিকণ্ঠ মজুমদার। আদালত অর্থনীতিবিদের বাড়ি ‘প্রতীচী’ চত্বরে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেয় শান্তিনিকেতন থানার কর্তব্যরত ওসিকে। পাশাপাশি অমর্ত্য সেনের বাড়ির আশেপাশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার সংক্রান্ত রিপোর্টও দিতে বলা হয়। বলা হয়, অমর্ত্য সেনের অনুপস্থিতিতে জমি মাপাও যাবে না। বলা হয়, বাবার নামে থাকা জমি উত্তরাধিকার সূত্রে অমর্ত্য সেনেরই প্রাপ্য। এ নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ নেই।
[আরও পড়ুন: আমজনতার অসুবিধা এড়াতে সফরসূচিতে বদল, বীরভূম থেকে ফিরে বিকেলেই দক্ষিণেশ্বর যাবেন শাহ]
এদিকে বিশ্বভারতীর শুনানিতে উপস্থিত না থাকায় আগামী ১৯ এপ্রিল বেলা ১২ টায় ১৯৭১-এর উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করার কথা জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে অমর্ত্য সেনের আইনজীবীকে নোটিস পাঠান বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী আগামী ১৯ তারিখ কঠোর সিদ্ধান্ত অর্থাৎ উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। আর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গত মাসের ১৯ তারিখ হেয়ারিংয়ের জন্যে ডেকেছিলেন অমর্ত্য সেনকে। তিনি উকিল মারফত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী ৭ দিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। তাও তারা যতটা সম্ভব সময় দিয়েছেন। তাই তারা আগামী ১৯ তারিখ কড়া সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঠিক করেছেন। কিন্তু তার আগেই ‘প্রতীচী’র দেওয়ালে নোটিস সাঁটিয়ে দেওয়া হল।