মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পিকনিক পার্টির হুল্লোড়, বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে গেল সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পাঁচিল! রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের কাছে দেউলটিতে। বছরের শেষ রবিবার জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঠাসা ভিড় হয়েছিল। পিকনিক করতে যাওয়া একটি গাড়ি শরৎচন্দ্রের বাড়ির পাশ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। লাল পাঁচিলের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানকার পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাহিত্যিকের প্রপৌত্র। সোমবারের মধ্যে পাঁচিল মেরামতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
হাওড়ার বাগনান লাগোয়া দেউলটিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসত বাড়ি এই জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বছরের বিভিন্ন সময়ে রূপনারায়ণ নদী লাগোয়া এই বাড়ি দেখতে আসেন পর্যটকরা। এর আশপাশের প্রচুর হোটেলও গড়ে উঠেছে তাঁদের থাকার জন্য। তবে এখানে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় শীতকালে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে মূলত পিকনিক করতে আসেন আমুদে বাঙালি। এবছর তাঁদেরই একাংশের অসাবধানতায় সাহিত্যিকের বাড়ির সম্পদহানির ঘটনা ঘটল।
জানা গিয়েছে, রবিবার একটি গাড়ি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাঁচিলে ধাক্কা মারে। তাতে বাসভবনের পাঁচিলের পাশের একাংশ ভেঙে পড়ে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র জয় চট্টোপাধ্যায় এই খবর পেয়ে যোগাযোগ করেন বাড়ি লাগোয়া এলাকার পার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''এই ঘটনায় আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। যিনি ওখানকার পার্কিংয়ের দায়িত্বে আছেন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। যাতে সোমবারের মধ্যেই ওই পাঁচিল সারিয়ে দেওয়া যায় সেটা দেখা হবে।"
বছরের শেষ রবিবার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি সংলগ্ন রূপনারায়ণের তীরে পিকনিক জমে উঠেছিল। প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটক বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁরা রূপনারায়ণ নদের তীরে চড়ুইভাতির পাশাপাশি হেরিটেজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘুরে দেখেন। আবার কেউ কেউ খাবার তৈরি করে এনেও খাবার খেয়েছেন। সবমিলিয়ে শরৎচন্দ্রের বাড়ির এলাকায় পিকনিক জমে উঠেছিল। জানা গিয়েছে গাদিয়াড়া বা শিবগঞ্জের অবস্থা তথৈবচ। গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কে মোটামুটি ভিড় হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
