বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রাজ্যে পঞ্চম দফা ভোট শুরুর আগেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বেলার দিকে কোথাও কোথাও সেই অশান্তির খবর আরও সামনে এসেছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ, ভোটে বাধাদানের অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়াল নদিয়ার চাকদহে (Chakdah)। সেখানে দেখা গেল, প্রকাশ্য রাস্তায় হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছেন নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিক! তা দেখেই ভোটারদের মনে আতঙ্ক ছড়ায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে যেতেও সাহস পাচ্ছিলেন না তাঁরা। পরে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
বাংলার ভোটে আগ্নেয়াস্ত্র (Arms) হাতে দুষ্কৃতী দাপট, রাস্তায় ঘোরাঘুরি, ভীতি প্রদর্শন – এসব পরিচিত দৃশ্য। তবে খোদ প্রার্থী দিনেদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ঘুরবেন, এমনটা বোধহয় খুব একটা দেখা যায়নি। তারউপর এবারের ভোট শান্তিপূর্ণ করতে নজিরবিহীনভাবে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন পূর্ববর্তী বা পরবর্তী হিংসার ঘটনা অব্যাহতই রাজ্যে। শনিবার দুপুরে চাকদহেরব নির্দল প্রার্থী কৌশিক ভৌমিকের হাতে দেখা গেল একটি দেশি পিস্তল। প্রথমে তা আড়ালেরও চেষ্টা করেননি তিনি। রামলাল হাইস্কুলের কাছে তাঁকে বন্দুর হাতে ঘুরতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় নিকটবর্তী বুথের লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের মধ্যে। এ নিয়ে শোরগোল, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে প্রকাশিত হতেই অবশ্য পিস্তলটি পাঞ্জাবির পকেটে লুকিয়ে হেঁটে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: বিজেপির তারকা প্রার্থী পার্নো মিত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, ধুন্ধুমার বরানগরে]
কেন ভোটের দিন সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেরলেন নির্দল প্রার্থী? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফাই, তিনি নিজে পিস্তল নিয়ে বেরননি। বরং বেরিয়ে একটি জায়গায় পিস্তল-সহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে, তা নিয়ে থানায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সেই ফাঁকে কেউ বা কারা তাঁর ছবি তুলে অন্যভাবে বিষয়টি পরিবেশন করেছে। ভিডিওতে সম্পূর্ণ ভুলভাবে তাঁর ভূমিকা দেখানো হয়েছে বলে রীতিমতো রাগত স্বরে বলতে শোনা গেল কৌশিক ভৌমিককে। আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁর এই বক্তব্যের সত্যতা কতটা, তা তো তদন্তসাপেক্ষ। তবে সাদা পোশাক পরে এভাবে দেশি পিস্তল হাতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি ভোটের দিন কম তোলপাড় ফেলল না।