সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগন্নাথ মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, দ্বারোদঘাটন ঘিরে দিঘায় সাজ-সাজ রব। ৩০ এপ্রিল, বুধবার দুপুরে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর এই অনুষ্ঠানে সৌজন্যের নজির গড়লেন তিনি। দিঘার এই কর্মযজ্ঞে আমন্ত্রিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা রবীন দেব, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যদেরও। আমন্ত্রিত বিরোধী নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ।
সূচি অনুযায়ী দিঘায় জগন্নাথ দেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় চলছে আচার-অনুষ্ঠান। সোমবার শাস্ত্রীয় মতে শুরু হয় পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞ। মঙ্গলবার, ২৯ তারিখ বিশ্বশান্তির জন্য হয় মহাযজ্ঞ। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হয়। এদিন মহাযজ্ঞে পূ্র্ণাহুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের হাতে আরতিও করেন।
আয়োজনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে সেই ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে উপস্থিত ছিলেন ৫ মন্ত্রী- অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, পুলক রায় এবং স্নেহাশিস চক্রবর্তী। কারণ, শ্রীক্ষেত্র দিঘার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন পুণ্যার্থীরা। পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীরা। রয়েছেন শিল্পপতি থেকে চিত্র তারকা সকলেই। বাদ পড়ছেন না বিরোধী দলের রাজনীতিকরাও। চিঠি পাঠিয়ে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "মন্দিরের উদ্বোধনে অভাবনীয় সৌজন্য দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।"
বিমান বসু-রবীন দেবরা যাবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, "হাওড়ার শ্যামপুরে আমার দু'টো কর্মসূচি রয়েছে। সেটা সেরে যেতে পারি।" একই কথা জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, "দিলীপ ঘোষ আসবেন বলে জানিয়েছেন। কোনও কারণে যদি আসতে না পারেন তাহলে খুব শীঘ্রই সস্ত্রীক আসবেন।" কুণাল আরও জানিয়েছেন, মন্দির তৈরির প্রক্রিয়া যখন চলছিল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নকশা প্রকাশের সময়ও ছিলেন। আগামিকাল যখন মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের কাজ চলবে তখন কাঁথিতে কীর্তনের অনুষ্ঠান করবেন শুভেন্দু।
