নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দেউচা-পাঁচামি (Deucha Pachami) কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য ফের সুখবর। মহম্মদবাজারের প্রকল্পটির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজে (Financial Packages) আরও দুটি বিষয় যুক্ত করল রাজ্য সরকার। আগামী মাস থেকে আরও আড়াইশো চাকরিপ্রার্থী আর্থিক সুবিধা পাবেন। বুধবার সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত রাজ্য সচিব এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, প্রকল্পে জমি দেওয়ার পরিবর্তে যারা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের বয়স যদি ১৮ বছর না হয়, তাহলে ১৭ বছর বয়স থেকে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। একইসঙ্গে যাদের জুনিয়র কনস্টেবল (Junior Constable) পদে চাকরির সব শর্ত পূরণ হচ্ছে না, তাদের চতুর্থ শ্রেণির করণিক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
স্বভাবতই পুজোর মুখে এমন দুটি প্যাকেজ পেয়ে নতুন করে আনন্দের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দেউচা-পাঁচামি-সহ মহম্মদবাজারে। তাদের কাছে এবারের পুজো (Durga Puja) আরও রঙিন। দেউচা-পাঁচামি-দেওয়ানগঞ্জ-হরিণসিঙা জুড়ে কয়লা প্রকল্পের জন্য দু’বছর আগে পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কয়লা প্রকল্পের জন্য প্রায় ২২৬৮ একর জায়গা দরকার। নির্দিষ্ট ১০ টি মৌজা থেকে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সরাসরি জমি কিনতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় আর CID তদন্ত নয়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের]
প্রথম দিকে এই জমিকে ঘিরে বিক্ষোভ চরমে ওঠে।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তৃণমূল নেতাদের দাবি এই প্যাকেজে দেশের কোথাও কেউ ঘোষণা করতে পারেনি। তাই বিরোধিতা সরিয়ে প্রথম পর্যায়ে দেউচা-পাঁচামির জন্য জমিদাতারা এগিয়ে আসেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির শর্ত অনুযায়ী ৪০০ জনকে জুনিয়র কনস্টেবলের
জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে ৩৫৪ জন এখন বারাকপুরে পুলিশের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
কিন্তু যাদের জমির শর্ত অনুযায়ী জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা
বা শারীরিক সক্ষমতা নেই, তাদের সরকারি পদে কাজ দেওয়া হবে। চতুর্থ শ্রেণির করণিক হিসাবে
তাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: চতুর্থীর সন্ধেয় ‘নবনীড়’ বৃদ্ধাবাসে মমতা, গান-গল্প-আড্ডায় নস্ট্যালজিক মুখ্যমন্ত্রী]
কিন্তু যাদের এখনও ১৮ বছর হতে এক বছর বাকি। অথচ চাকরির সব শর্ত পূরণ করছে। প্যাকেজে তাদের জন্য সংযোজন হল নতুন নিয়ম। ১৭ বছর বয়স থেকে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত রাজ্য সরকার এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেবে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, এখনও পর্যন্ত জমি দেওয়ার শর্ত পূরণ করে ৯ টি পর্যায়ে নাম পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮ নম্বরের তালিকা পর্যন্ত ২২০ জন এখনও পর্যন্ত চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন জেলাশাসকের আশা, ”পুজোর পরেই রাজ্য সরকারের নির্দেশে নতুন সংযোজিত আইনে আমরা চাকরিপ্রার্থীদের পাশে অর্থ সাহায্য নিয়ে দাঁড়াতে পারব।”