স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চশিক্ষায় কোর্স সম্পন্ন করা তথা উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের সাফল্যকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করার রেওয়াজ বহুদিনের। যা গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি (Graduation Ceremony), সমাবর্তন, ডিগ্রি প্রদানকারী অনুষ্ঠানের মতো বিভিন্ন নামে হয়। আবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নবীন বরণ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন পড়ুয়াদের স্বাগতও জানানো হয়। কিন্তু, স্কুল পড়ুয়ারা (School Student) প্রতি বছর নিঃশব্দেই এক শ্রেণি থেকে আর এক শ্রেণিতে উন্নীত হত। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই বদলাতে চলেছে সেই চিত্র। স্কুলে নতুন শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া পড়ুয়াদের জন্যেও রাজ্যের স্কুলগুলিতে হবে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’। যার মাধ্যমে পড়ুয়াদের পূর্ববর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া এবং নতুন শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া– দুই-ই পালন করা হবে।
কীভাবে স্কুলে স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি পালন করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ১৩ দফার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রতিবছর ২ জানুয়ারি রাজ্যের স্কুলগুলিতে ‘বই দিবস’ পালন করা হয়। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী, বই দিবসের পরের দিন অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নতুন শ্রেণিতে উন্নীত পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দিতে আয়োজন করতে হবে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’র। নতুন শ্রেণিতে পড়ুয়াদের স্বাগত জানাতে শ্রেণি শিক্ষক টফি/ক্যান্ডি, মিষ্টি ইত্যাদি দেবেন।
[আরও পড়ুন: বামনেতার সঙ্গে বৈঠক ফাঁসে অস্বস্তিতে বিজেপি, ‘বঙ্গভঙ্গ সমর্থন নয়’, সাফ বার্তা অশোক ভট্টাচার্যের]
শ্রেণি শিক্ষক স্বাগত ভাষণ দেবেন এবং সকল পড়ুয়া নিজেকে শ্রেণি শিক্ষক ও অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচিত করাবেন। প্রতিটি ক্লাসের এই অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক স্কুলের ইতিহাস এবং স্কুল পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা সম্পর্কে জানাবেন। প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্মতারিখ-সহ ছবি দিয়ে স্কুলে একটি ফোটো কর্নার তৈরি করতে হবে। শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে ক্লাসের সকল ছাত্রছাত্রীর ছবি তুলে তাও ফোটো কর্নারে সাজিয়ে রাখতে হবে। শুভেচ্ছা, ভালবাসা জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত চিঠি দিতে হবে সকল পড়ুয়াকে।
[আরও পড়ুন: নেশা নিয়ে অশান্তি, কালীপুজোর রাতে সিঁথিতে ছেলের হাতে বলি বাবা!]
গোটা অনুষ্ঠানটিকে লিপিবদ্ধ করে বুকলেট আকারে প্রতিবছর প্রকাশ করবে স্কুল। শুধু গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি নয়। হাউজ ব্যবস্থা, রিডিং হ্যাবিট, আনন্দ পরিসর, শিশু সংসদ –পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে স্কুলে আরও চারটি নতুন কার্যকলাপ চালুর নীতি গ্রহণ করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রতিটি কার্যকলাপ কীভাবে পরিচালিত হবে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন গত ১৫ অক্টোবর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদকে পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন।
গাইডলাইন মেনে আগামী শিক্ষাবর্ষ তথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই সেগুলি রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে চালু করতে চায় স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তাই কার্যকলাপগুলির সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের পরিচয় ঘটাতে আগামী ২ নভেম্বর দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে। এরপর স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে অবগত করতে নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কর্মশালার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।