সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: দিন কয়েক মেঘ-রোদ্দুরের খেলা শেষে ফের মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার জেরে বৃষ্টি (Rain)শুরু বঙ্গে। কলকাতায় সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির দাপটও বেড়েছে। সংলগ্ন জেলাগুলির আকাশের অবস্থা তথৈবচ। কালো মেঘের আড়ালে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস রয়েছে –
- পূর্ব মেদিনীপুর
- পশ্চিম মেদিনীপুর
- ঝাড়গ্রাম
- হাওড়া
- উত্তর ২৪ পরগনা
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা
দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ আজ একটু বেশি হবে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। আজ সারাদিন কলকাতা (Kolkata) ও আশপাশের আকাশ মেঘলা থাকবে। মাঝেমধ্য়েই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। সকালে শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। শহরে বৃষ্টিপাত হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৪২মিলিমিটার। যার জেরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে খানিকটা।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ প্রধান শিক্ষিকা, পরিবর্তে শিশুদের ক্লাস নিচ্ছেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি স্বামী!]
এদিকে, উলটো ছবি উত্তরবঙ্গে। সেখানকার সব জেলায় তাপমাত্রা বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরের উপরের দিকের জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে।
[আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবেন অর্পিতা? জোর চর্চা ইডির অন্দরে]
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে অবস্থান করা নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে আজ সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে আরও একটু এগিয়ে রাজস্থানের দিকে এর গতিপথ হবে। মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের সুস্পষ্ট নিম্নচাপের উপর দিয়ে সিদ্ধি ডালটনগঞ্জ দিঘার উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার জেরে সকাল থেকেই বৃষ্টি।
এদিকে, ঝড়বৃষ্টির মধ্যে সোমবার পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে মাঠে ছিঁড়ে থাকা বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছে আশা দাস নামে এক মহিলার। জখম তাঁর ছেলে রাহুল দাস। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে রাতে বর্ধমান-কালনা রোড অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা। বিদ্যুৎ দপ্তরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বারবার পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে এমন মৃত্যুর ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকায়।