মলয় কুণ্ডু: দেউচা-পাচামি কয়লা খনি থেকে কয়লা (Coal) উত্তোলনের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। আপাতত সরকারি জমিতেই কাজ শুরু হবে। সরকারি জমির পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যাঁরা জমি দেবেন, তাঁদের জন্য সরকারি চাকরি, অন্যত্র জমি ও ক্ষতিপূরণও দেবে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে (Nabanna)মন্ত্রিসভার বৈঠকে জমিদাতাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। তার জন্য ৫১০০ পদ তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বীরভূমে মহম্মদ বাজার থানার অধীনে দেওয়ানগঞ্জ, হারিনগঞ্জের কোল ব্লক রয়েছে। সেখানে যাঁরা কয়লা উত্তোলনের জন্য জমি দেবেন, তাঁদের জন্য এদিন ‘রিলাক্সশেসন টু রিক্রুটমেন্ট রুলস ফর অ্যাপয়েন্টমেন্ট ওয়ান মেম্বার অফ ইচ অফ দ্য ফ্যামিলি’ অনুমোদিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁরা জমি দেবেন, তাঁদের পরিবারের একজনকে সিনিয়র বা জুনিয়র কনস্টেবল (Constable) পদে নিয়োগ করবে সরকার।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ২ হাজারের নিচে, তবে চিন্তায় রাখছে মৃত্যুহার]
জানা গিয়েছে, ১৩৯ জন সম্মত হয়েছেন জমি দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “যদিও প্রথম কাজটা সরকারি জমিতেই হবে। যাঁরা রাজি হবেন তাঁদের জমিই নেওয়া হবে। আমাদের হাতে জমি রয়েছে এক হাজার একরের মতো। সুতরাং আমাদের জমিতেই কাজটা শুরু করব। যেহেতু লোকাল ছেলেমেয়দের সার্পোট আমাদের দরকার, তাই আমরা ৫১০০ জুনিয়র বা সিনিয়র কনস্টেবল নেব, যাঁরা জমি দিতে চান তাঁদের পরিবার থেকে।” জমির বদলে জমিও যেমন দেওয়া হবে তেমনই মিলবে পাট্টা ও ক্ষতিপূরণ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলা ‘রাজনৈতিক জয়’, লাগাতার আন্দোলনে সাফল্যের দাবি এসএফআই-এর]
এর আগে মহম্মদবাজারে কয়লা খনির জন্য জায়গা দিলে কোনও আদিবাসী বাদ যাবে না। সব আদিবাসীর জন্য আলাদা আলাদা করে ঘর করে দেবে সরকার। দেউচা-পাচামি (Deucha-Pachami) কয়লা খনি নিয়ে ঘোষিত প্যাকেজের কথা ফের মনে করিয়ে দেন জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। সঙ্গে মহম্মদবাজারকে সোনার মহম্মদবাজার গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।