shono
Advertisement

‘হামলার মুখে না পড়লেও তালিবানকে বিশ্বাস করা যায় না’, অভিজ্ঞতা জানালেন Kabul ফেরত শিক্ষক

ছেলেকে কাছে পেয়ে আপ্লুত বাবা-মা।
Posted: 06:03 PM Aug 23, 2021Updated: 03:38 PM Aug 24, 2021

অর্ণব দাস, বারাসত: পেরিয়েছে ‘অভিশপ্ত’ সময়। কয়েকদিনের টানাপোড়েনের পর আফগানভূম (Afghanistan) থেকে সুস্থ অবস্থাতেই ঘরে ফিরেছেন নিমতার শিক্ষক। ছেলেকে কাছে পেয়ে আপ্লুত পরিবার। ঘরে ফিরে কাবুলে কাটানো শেষ কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা শোনালেন তমাল ভট্টাচার্য।

Advertisement

রবিবার রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন তমাল ভট্টাচার্য। পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে পৌঁছে দেন বাড়িতে। এরপরই সংবাদ মাধ্যমের কাছে কাবুলের অভিজ্ঞতা জানান তমাল। তিনি বলেন, “প্রথমে বুঝিনি বাঁচব না মরতে হবে। তবে তালিবানদের তরফে আশ্বাস পাওয়ার পর বুঝি যে, নাহ বাঁচব। বাড়ি ফিরতে পেরে আমি আপ্লুত।”

[আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা, পঞ্চায়েত কর্মীকে সপাটে চড় BDO-র! ধুন্ধুমার মুর্শিদাবাদে]

তমাল জানিয়েছেন, তালিবানদের দাপটে আফগানিস্তান কাঁপলেও, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও তিনি নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। তাঁর কথায়, “তালিবানরা আমাদের আশ্বাস দেওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। ওরাই আমাদের জল, খাবার, ওষুধের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ওরা না মারলেও অন্য কেউ প্রাণে মেরে ফেলতেই পারত। যদিও তালিবানদেরও (Taliban) বিশ্বাস করা যায় না।” অর্থাৎ হামলা না হলেও তালিবানদের কবলে রীতিমতো আতঙ্কেই ছিলেন তমাল। দেশে ফিরতে পেরে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তমাল ভট্টাচার্য। তবে আগামিদিন ফের আফগানিস্তানের ফিরে যাবেন কি না সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তমাল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নতুন চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।

ছেলে ঘরে ফেরায় উচ্ছ্বসিত তমালের মা মিনতি ভট্টাচার্য। সোমবার রান্নাঘরেই ব্যস্ত তিনি। জমিয়ে রাঁধছেন ছেলের পছন্দের চিংড়ি, খাসির মাংস আরও কত কী। তবে আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের জন্য চিন্তিত তিনি। তাঁর একটাই প্রার্থনা, সুস্থভাবে প্রত্যেকেই ফিরে আসুন ঘরে।

 

[আরও পড়ুন: রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার