স্টাফ রিপোর্টার: বর্ষবরণের রাতে 'রোমিও' বাইকারদের দৌরাত্ম্য রুখতে ময়দানে প্রশাসন। বছর শেষের রাত মানেই বাঁধন ছাড়া উচ্ছ্বাস। মদ্যপ অবস্থাতেই অনেকেই দু'চাকায় গতিতে ঝড় তোলেন। যার কারণে নিজের পাশাপাশি অন্যদের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়। সে কথা মাথায় রেখে আজ বুধবার রাত থেকেই পথে পুলিশ আধিকারিকরা। নাকা চেকিং চলাকালীন প্রতিটি সন্দেহজনক বাইক ও গাড়ি থামিয়ে চালকদের ব্রেথ অ্যানালাইজার পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যালকোহলের মাত্রা যাচাই করা হচ্ছে। কারও মুখ থেকে অ্যালকোহলের উপস্থিতি ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। জরিমানা, গাড়ি আটক এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্তর মতো কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই কড়া নজরদারির মধ্যেই বর্ষবরণের রাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে টাকি পর্যটন কেন্দ্রে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইছামতি নদীর তীরবর্তী সীমান্ত শহরে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসিরহাট ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুশান্ত দাসের উদ্যোগে শহর বসিরহাটের আমতলা, সংগ্রাপুর, ইছামতী সেতু ও বোটঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একাধিক স্থানে নাকা চেকিং বসানো হয়েছে।
প্রতিটি গাড়ি ও বাইক থামিয়ে শুধু মদ্যপান পরীক্ষাই নয়, পাশাপাশি সীমান্তবর্তী টাকি, বসিরহাট সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথে কোনও নাশকতার ছক রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। প্রশাসনের এই কড়া তৎপরতায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা। তাদের মতে, এমন নজরদারির ফলে বর্ষবরণের আনন্দ যেমন নির্বিঘ্ন থাকছে, তেমনই নিরাপদ থাকছে সাধারণ মানুষের যাতায়াত।
