দেবব্রত মণ্ডল ও সুরজিৎ দেব: ২২ দিন ধরে নিখোঁজ মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার। কী কারণে মহিলাকে খুন করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অভিযোগের তির মহিলার ভাসুরপোর দিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) মৌল মুকুন্দপুরের ঘটনায় মহিলার ভাসুরপো-সহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করেই আসল ঘটনা সামনে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মৌল মুকুন্দপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার সদ্যই স্বামী মারা গিয়েছেন। বর্তমানে একাই ওই এলাকায় বাস করতেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর জমিজমা হস্তগত করার চেষ্টা করত মহিলার ভাসুরপো। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদও জানাতেন মহিলা। ঝগড়াঝাটিও হত। আচমকাই ২২ দিন ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না মহিলাকে। খোঁজখবর নেন প্রতিবেশীরা। ভাসুরপোকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন প্রতিবেশীরা। কাকিমার খোঁজ তার জানা নেই বলেই দাবি করে ওই যুবক। এরপর বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে মহিলার বস্তাবন্দি দেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ওই যুবকই মহিলাকে খুন করেছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদে খুন করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যুবক-সহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
[আরও পড়ুন: Ghatal Master Plan: ‘বাঙালি বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী হলেও রাজ্যের সমস্যা মিটত’, বেফাঁস Dev]
এদিকে, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) থানার গুরুদাসনগরের বড়িয়া গ্রামেও এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়াসিম আক্রম ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্রিকেট খেলতেন খুব ভাল। ওই যুবক বাসুলডাঙ্গা ষাটমনীষার বাসিন্দা হলেও বেশিরভাগ সময়ই কাটাতেন ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের কাছে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে তিনি স্কুটি নিয়ে বেরোন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসার কথাও বলে যান। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি।
বুধবার সকালে বড়িয়া বাজারের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। পাশেই ছিল স্কুটি। কাছাকাছি একটি ইলেকট্রিক পোস্টে মাথার চুল ও রক্তের দাগের চিহ্ন পাওয়া যায়। এটি নিছকই একটি দুর্ঘটনা মানতে নারাজ মৃতের আত্মীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাতে যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে ওয়াসিম আক্রম বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।