সৈকত মাইতি, তমলুক: জলে ডুবে বছর দেড়েকের শিশুর রহস্যমৃত্যু। আর এই ঘটনায় মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ তুললেন বাবা। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার রামচন্দ্রপুর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। এই ঘটনায় মৃত শিশুর মা এবং তার দ্বিতীয় স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ময়না থানার পুলিশ।
ময়নার উত্তমপুর এলাকার বাসিন্দা নন্দন প্রধান। পেশায় টোটোচালক নন্দনের সঙ্গে বছর তিনেক আগে পাশের গ্রাম রামচন্দ্রপুর এলাকার তরুণী সুমিতার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের বছর দেড়েকের এক পুত্রসন্তান ছিল। পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে নন্দন এবং সুমিতার দাম্পত্য জীবনে ছেদ পড়ে। মাসদেড়েক আগেই গ্রাম্য সালিশি সভায় উভয়পক্ষের বোঝাপড়ায় স্বামী নন্দনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুমিতা। দুধের সন্তান শুভমকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান সুমিতা। গ্রামেরই যুবক কার্তিক কুইলাকে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা। কার্তিক পেশায় আখের রস বিক্রেতা।
[আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের জন্য বকা খেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! এজলাসে বসেই আক্ষেপ, ব্যাপারটা কী?]
বুধবার সকালে রামচন্দ্রপুর এলাকায় কার্তিক কুইলার বাড়ির সামনের একটি পুকুর থেকে ছোট্ট শুভমের দেহ উদ্ধার হয়। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশ এলাকার কয়েকশো মানুষের কাছে। ভিড় উপচে পড়ে রামচন্দ্রপুর এলাকায়। অন্যদিকে, নিজের ছেলের মর্মান্তিক পরিণতির পর স্ত্রী সুমিতা ও তার নতুন স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন নন্দন। তাঁর অভিযোগ, কোলের সন্তানকে জোর করে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়ে তিনি ময়না থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
এদিকে, এই ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত শিশুর মা সুনিতা প্রধান এবং কার্তিক কুইলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ময়না থানার পুলিশ। তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শিশুর ময়নাতদন্ত করা হয়। তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে।